২০২৫ সালের আইপিএল মেগা নিলামের হাই-প্রোফাইল খেলোয়াড়দের তালিকায় এবার যোগ দিচ্ছেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার ঋষভ পান্ত। দিল্লি ক্যাপিটালস (ডিসি) তাকে ধরে রাখেনি বলে জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।
দিল্লির মালিকানার সাথে পান্তের আলোচনা চলতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে, দিল্লি চার খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে—স্পিন জুটি অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবস এবং অভিষিক্ত ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অভিষেক পোড়েল।
নিলামে দিল্লির দুটি রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ড ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এবং তারা পান্তকে পুনরায় দলে ফেরানোর চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে। পান্ত ২০১৬ সালে দিল্লিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে অধিনায়কত্ব গ্রহণের পর থেকে দলের মূল খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিলেন।
যদি দিল্লি নিলামে তাকে না নিতে পারে, তবে তাদের নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে। তিনজন অভিজ্ঞ এবং একজন নবীন খেলোয়াড়কে ধরে রাখায় দিল্লির নিলামের পুঁজি থেকে অন্তত ৪৭ কোটি টাকা (১৮+১৪+১১+৪) কাটা পড়বে এবং তারা ৭৩ কোটি টাকা নিয়ে দল সাজানোর সুযোগ পাবে।
অক্ষর ২০১৯ থেকে দিল্লির সাথে আছেন এবং এটি তার দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি; এর আগে তিনি পাঞ্জাব কিংসের (পিবিকেএস) হয়ে খেলেছিলেন। কুলদীপ ২০২২ সালে কেকেআরের পাঁচ মৌসুম পর দিল্লিতে যোগ দেন, এবং পোড়েল ২০২৩ সালে যুক্ত হন।
পান্ত, কুলদীপ, অক্ষর এবং পোড়েল গত বছরের নিলামের আগেই দিল্লির দলে ছিলেন, যেখানে স্টাবস তার ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ রুপিতে (প্রায় ৬০,০০০ মার্কিন ডলার) দলে যুক্ত হন।
পান্তকে নিয়ে দিল্লির সিদ্ধান্তটি বেশ নাটকীয়। ধারণা ছিল যে, পান্তই দিল্লির শীর্ষ পছন্দ হিসেবে ধরে রাখা হবে। তবে জানা গেছে, ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালন পর্যায়ের সবাই তাকে অধিনায়ক হিসেবে ধরে রাখতে চাইছিলেন না। দিল্লির সহ-মালিকরা—জিএমআর গ্রুপের কিরণ গ্রন্থি এবং জেএসডব্লু স্পোর্টসের পার্থ জিন্দাল—পান্তের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, পান্ত তার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা ও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়নি।
২০২১ সালে, পান্ত অস্থায়ীভাবে অধিনায়ক হিসেবে ডিসির দায়িত্ব নেন এবং এরপর ২০২৪ মৌসুম পর্যন্ত স্থায়ীভাবে নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি ২০২১ থেকে ২০২৪ মৌসুমের মধ্যে ৪৪টি ম্যাচে ডিসিকে নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে ২৪টি ম্যাচে জয় এবং ১৯টি ম্যাচে পরাজয় হয়। অধিনায়ক হিসেবে তার ব্যাটিং গড় ৩৫.৪৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৯৬, যা তার আইপিএল ক্যারিয়ারের গড় ও স্ট্রাইক রেটের কাছাকাছি।
এই পরিস্থিতিতে মেগা নিলামে ঋষভ পান্তের উপর অনেক আগ্রহ থাকবে, এবং ডিসি তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।