বিপিসির আওতাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) ও এস আলম গ্রুপের মধ্যকার একটি প্রকল্প বাতিল করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিপিসির আওতাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পটি বিপিসি/ইআরএল এবং এস আলম গ্রুপের মধ্যে সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগী চুক্তির আওতায় বাস্তবয়ন প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, একইসাথে প্রকল্পটির ডিপিপি বৈদেশিক মুদ্রার হালনাগাদ রেট অনুযায়ী প্রাক্কলন এবং সমস্ত ক্রয় পরিকল্পনা পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী প্রণয়নপূর্বক পরিকল্পনা কমিশনে পুনর্গঠিত ডিপিপি প্রেরণ করার জন্য বিপিসিতে পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে এস আলম গ্রুপের জমি ও সম্পদ না কেনার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বুধবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংকের লেনদেন, ঋণ, এলসি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন প্রতিষ্ঠানটি নামে-বেনামে থাকা বিভিন্ন জমি-সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছে। এগুলো ঠেকাতে আইনি প্রক্রিয়া দরকার। তাই রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এ মুহূর্তে এস আলম গ্রুপের জমি ও সম্পদ না কেনার পরামর্শ দিচ্ছি।
এস আলমের ব্যাংক লুটের বিষয় উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এমন ব্যাংক লুটের ঘটনা পৃথিবীতে আর আছে কি না আমার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। তবে দেশে থাকা তার সম্পদ এবং জমি-জমা বিক্রি করে আমরা লুটের টাকা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। এ জন্য আইনের সহায়তা নেওয়ার বিকল্প নেই।
এর আগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার ছয় ভাই, স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ পরিবারের বেশ কয়েকজনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। একই সঙ্গে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব এবং অন্যান্য তথ্যও চাওয়া হয়েছে।