কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঝিলংজার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুলে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম। ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান সিকদার এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে রাতে তিনটার দিকে মিজানের বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন মিজানের পরিবার মাটিচাপা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও স্ত্রী-শিশুদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের (স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়ের) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে ওপর থেকে পাহাড় ধসে তার বাড়িতে পড়ে।
এদিকে দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের উপকূল এবং এর কাছাকাছি উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি থেকে অতি বর্ষণ হতে পারে। ঝড়বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের এ প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।