ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

খুলনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৩ গ্রাম

খুলনার পাইকগাছায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের রেখামারী খালের নিচের দিকের ওই বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

 

জানা গেছে, পাইকগাছার কালীনগর গ্রামের পাশেই আছে ভদ্রা নদী। এদিন দুপুরের দিকে সেখানে পাউবোর ২২ নম্বর উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৯০ ফুটের মতো ভেঙে যায়। এ সময় ১৩টি গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ শুরু করে।

 

 

প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- কালীনগর, দারুল মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ি, ফুলবাড়ী, বাগীরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই।

 

দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পলাশ রায় বলেন, বেড়িবাঁধের একটি অংশে ফাটল ছিল বলে শুনেছিলাম। আজ সকালে লোকজন নিয়ে সেটি দেখতে গেলে আমার চোখের সামনেই বাঁধ ভেঙে যায়। পোল্ডারের আওতায় থাকা পাঁচটি ওয়ার্ডের মন্দির-মসজিদে যত মাইক আছে সেগুলো দিয়ে খবরটা প্রচারের ব্যবস্থা করি।

 

 

তিনি বলেন, ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ায় এখানকার গ্রামের সব চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই খুব আতঙ্কে আছেন।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, দুপুরে জোয়ারের সময় কালীনগর গ্রামে প্রায় ৩০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরপর জোয়ারের পানি আশপাশের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে। উপকূলীয় এলাকার নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

খুলনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৩ গ্রাম

প্রকাশিত : ০৯:২২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

খুলনার পাইকগাছায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের রেখামারী খালের নিচের দিকের ওই বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

 

জানা গেছে, পাইকগাছার কালীনগর গ্রামের পাশেই আছে ভদ্রা নদী। এদিন দুপুরের দিকে সেখানে পাউবোর ২২ নম্বর উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৯০ ফুটের মতো ভেঙে যায়। এ সময় ১৩টি গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ শুরু করে।

 

 

প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- কালীনগর, দারুল মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ি, ফুলবাড়ী, বাগীরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই।

 

দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পলাশ রায় বলেন, বেড়িবাঁধের একটি অংশে ফাটল ছিল বলে শুনেছিলাম। আজ সকালে লোকজন নিয়ে সেটি দেখতে গেলে আমার চোখের সামনেই বাঁধ ভেঙে যায়। পোল্ডারের আওতায় থাকা পাঁচটি ওয়ার্ডের মন্দির-মসজিদে যত মাইক আছে সেগুলো দিয়ে খবরটা প্রচারের ব্যবস্থা করি।

 

 

তিনি বলেন, ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ায় এখানকার গ্রামের সব চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই খুব আতঙ্কে আছেন।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, দুপুরে জোয়ারের সময় কালীনগর গ্রামে প্রায় ৩০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরপর জোয়ারের পানি আশপাশের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে। উপকূলীয় এলাকার নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে।