ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৭ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।

 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে।

 

 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুয়াশা ও শীতের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।

 

কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বলেন, ৫-৬ দিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে পড়তে থাকা কুয়াশা সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত থাকে। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও সকালে কাজের জন্য বাহির হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।

 

 

ওই এলাকার দিনমজুর নুর ইসলাম বলেন, আজও কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বাহির হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।

 

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ

প্রকাশিত : ১২:২৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৭ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।

 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে।

 

 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুয়াশা ও শীতের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।

 

কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বলেন, ৫-৬ দিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে পড়তে থাকা কুয়াশা সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত থাকে। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও সকালে কাজের জন্য বাহির হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।

 

 

ওই এলাকার দিনমজুর নুর ইসলাম বলেন, আজও কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বাহির হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।

 

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।