মিসরের পিরামিডের খ্যাতি জগত জোড়া। কিন্তু মিসর ছাড়াও মেক্সিকো, সুদান ও চীনের মতো দেশেও রয়েছে পিরামিড। এসব পিরামিড দেখতে প্রতি বছর ভিড় জমায় হাজারও দর্শণার্থী।
তবে চীনেই এমন কিছু পাহাড় রয়েছে, যেগুলো দেখতে অবিকল পিরামিডের মতো। দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝৌ প্রদেশের আনলং কাউন্টিতে ওই পাহাড়ের অবস্থান।
বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো পাহাড়। দেখতে এমন অনন্য হওয়ায় এই পাহাড় রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের কাছে। চীনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন এই পাহাড় দেখতে আসছেন হাজার হাজার মানুষ। দর্শনার্থীরা চোখে এসব পাহাড় যেন পিরামিড হিসেবেই ধরা পড়েছে।
চলতি বছরের মার্চে আনলংয়ের কাছে পিরামিডের মতো এই পাহাড়ের ভিডিও ওপর থেকে ধারণ করেন একজন ফটোগ্রাফার। এরপর সেই ভিডিও চীনের টিকটকের মতো ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ডোইনে পোস্ট করেন।
ভিডিওটি তিনি সূর্যাস্তের সময় ধারণ করেছিলেন। সেটি পোস্ট করার পর পরই ৪০ লাখের বেশি ভিউ হয়। কমেন্ট পরে এক হাজারের বেশি।
ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আমি মনে করি এই পাহাড় দেখতে অনেকটাই পিরামিডের মতো। এর উচ্চতা ও উচ্চতা কোণ এমনকি অক্ষাংশেরও পিরামিডের সঙ্গে খুব মিল রয়েছে।
কয়েক মাস আগে ধারণ করা আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সুউচ্চ ওই পাহাড়গুলো দেখতে পিরামিডের মতো। তবে এর বাইরের অংশ পুরোটাই সবুজের চাঁদরে ঢাকা। দর্শনার্থীদের কাছে তাই রহস্যেই আবৃত এই পিরামিড পাহাড়। এখন এই পাহাড়কে ঘিরেই ওই এলাকার পর্যটন ব্যবসা জমে উঠেছে। বানানো হচ্ছে বিভিন্ন উঁচু প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে এই পাহাড় দেখা যায়।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পাঁচ দিনের ছুটিতে ৬১ হাজার দর্শনার্থী পিরামিড পাহাড় দেখতে গিয়েছিল। গুইঝৌর বাইরে থেকেও বেইজিং ও সাংহাই দেখে ছুটে যান দর্শনার্থীরা। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ২০ কোটি বছর আগে প্রাকৃতিকভাবেই এই পাহাড় গঠিত হয়েছে। ডলোমাইট নামে এক ধরনের চুনাপাথরের কারণে পিরামিডের আকৃতি ধারণ করেছে এই পাহাড়।
গুইঝৌ প্রদেশ চীনের দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ১০০ মিটার উঁচু। এখানকার প্রায় ৯২.৫ শতাংশ এলাকা পাহাড়ি। এ কারণে এই অঞ্চলটি চীনের সবচেয়ে পার্বত্যময় অঞ্চল হিসেবেও পরিচিত। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় গুইঝৌর আবহাওয়াও অন্য যেকোনো স্থান থেকে আলাদা।