ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

চীনে ‘সন্তান নিতে ভয়’ কারণ খুঁজতে সমীক্ষা

সন্তান লালনপালন নিয়ে নাগরিকদের মনোভাব ও সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ অনুসন্ধানে ৩০ হাজার মানুষের ওপর একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

 

১৫০টি প্রদেশ ও দেড় হাজার সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী এ সমীক্ষার লক্ষ্য হলো দেশটির জনসংখ্যা হ্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং ভবিষ্যতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ করা।

 

 

চীনের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের বরাতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ তথ্য জানায়।

 

এ ছাড়া চীনের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে পরিচালিত এই সমীক্ষা মূলত সন্তান নেওয়া নিয়ে চীনা নাগরিকদের মধ্যে অনীহা ও ভয়ের কারণগুলো নির্ধারণ করতে কাজ করবে।

 

 

এদিকে ২০২৩ সালে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমার তথ্য প্রকাশের পর, তরুণ দম্পতিদের সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। কিন্তু এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শিশু জন্মহারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।

 

গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, সমীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে চীন সরকার সন্তান জন্মদানে সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার কৌশল তৈরি করবে।

 

এর আগে, ২০২১ সালে দেশব্যাপী পরিবার ও গর্ভধারণ-সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছিল, যা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।

 

 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই জনসংখ্যা উন্নয়নের বিষয়টিকে একটি শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রচার করে।

 

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘উপযুক্ত বয়সে’ বিয়ে ও গর্ভধারণের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ জন্য দম্পতিদের মধ্যে সন্তান লালনপালনের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।

 

চীন সরকারের নতুন এ উদ্যোগ জনসংখ্যা সংকটের সমাধানে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এ সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য চীনের জনসংখ্যা নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

চীনে ‘সন্তান নিতে ভয়’ কারণ খুঁজতে সমীক্ষা

প্রকাশিত : ০৭:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

সন্তান লালনপালন নিয়ে নাগরিকদের মনোভাব ও সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ অনুসন্ধানে ৩০ হাজার মানুষের ওপর একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

 

১৫০টি প্রদেশ ও দেড় হাজার সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী এ সমীক্ষার লক্ষ্য হলো দেশটির জনসংখ্যা হ্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং ভবিষ্যতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ করা।

 

 

চীনের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের বরাতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ তথ্য জানায়।

 

এ ছাড়া চীনের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে পরিচালিত এই সমীক্ষা মূলত সন্তান নেওয়া নিয়ে চীনা নাগরিকদের মধ্যে অনীহা ও ভয়ের কারণগুলো নির্ধারণ করতে কাজ করবে।

 

 

এদিকে ২০২৩ সালে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমার তথ্য প্রকাশের পর, তরুণ দম্পতিদের সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। কিন্তু এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শিশু জন্মহারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।

 

গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, সমীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে চীন সরকার সন্তান জন্মদানে সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার কৌশল তৈরি করবে।

 

এর আগে, ২০২১ সালে দেশব্যাপী পরিবার ও গর্ভধারণ-সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছিল, যা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।

 

 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই জনসংখ্যা উন্নয়নের বিষয়টিকে একটি শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রচার করে।

 

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘উপযুক্ত বয়সে’ বিয়ে ও গর্ভধারণের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ জন্য দম্পতিদের মধ্যে সন্তান লালনপালনের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।

 

চীন সরকারের নতুন এ উদ্যোগ জনসংখ্যা সংকটের সমাধানে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এ সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য চীনের জনসংখ্যা নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।