ঢাকা , শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

তিন রাষ্ট্রদূতসহ ২৪ কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

তিন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ ২৪টি দপ্তর সংস্থার প্রধানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।

 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল করে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে ইরাক, জার্মানি ও জাপানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন।

 

 

অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের নিয়োগ বাতিলের মধ্য দিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল শুরু করে সরকার।

 

চুক্তি বাতিলের প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল বারীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ টেলিযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (প্রকৌশলী) শেখ রিয়াজ আহমেদ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারোয়ার জাহান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন তালুকদার, এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনছুরুল আলম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন ও তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরিনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

 

 

এ ছাড়া চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারওয়ার মাহমুদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনির চৌধুরী।

 

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৌজা প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. কফিল উদ্দিন, এস্টাব্লিস্টমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রকল্প পরিচালক মো. জহুরুল হক, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ এবং বঙ্গবন্ধু দারিদ্র বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মোহা. বোরহানুল হক।

 

 

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে যায়। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেওয়া চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিল করছে। চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তা আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

তিন রাষ্ট্রদূতসহ ২৪ কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত : ১২:০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তিন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ ২৪টি দপ্তর সংস্থার প্রধানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।

 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল করে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে ইরাক, জার্মানি ও জাপানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন।

 

 

অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের নিয়োগ বাতিলের মধ্য দিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল শুরু করে সরকার।

 

চুক্তি বাতিলের প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল বারীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ টেলিযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (প্রকৌশলী) শেখ রিয়াজ আহমেদ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারোয়ার জাহান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন তালুকদার, এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনছুরুল আলম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন ও তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরিনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

 

 

এ ছাড়া চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারওয়ার মাহমুদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনির চৌধুরী।

 

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৌজা প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. কফিল উদ্দিন, এস্টাব্লিস্টমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রকল্প পরিচালক মো. জহুরুল হক, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ এবং বঙ্গবন্ধু দারিদ্র বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মোহা. বোরহানুল হক।

 

 

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে যায়। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেওয়া চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিল করছে। চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তা আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত।