ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল কীভাবে চলবে জানাল কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রাথমিকভাবে তিনটি রুটে চলাচল করবে। এতে দৈনিক আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। ২০২৬ সালে এই মেট্রোরেল চালু করার আশা করছে ডিএমআরটিডিপি কর্তৃপক্ষ।

 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমআরটিডিপি) (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবার ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত এবং ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে।

 

এতে আরও বলা হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড।

 

 

দুই স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল স্টেশনগুলোয় যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা করা মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। ঐকিক নিয়মে মেট্রোরেলের গতিবেগ হিসাব যুক্তিযুক্ত নয়।

 

এতে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১-এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কমবেশি ১০ মিটার থেকে ১৩ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে।

 

তবে কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্ততা কম থাকায় ওপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া কুড়িল থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা রোড লেভেল থেকে রেল লেভেলের উচ্চতা ১৪ দশমিক ১ মিটার থেকে ১৮ দশমিক ৩ মিটার রাখা হয়েছে।

 

অল্প সময়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহন সম্ভব জানিয়ে বলা হয়, প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ ৩০৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে এবং সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রো ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১-এর পাতাল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং উড়াল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এতে অল্প সময়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল কীভাবে চলবে জানাল কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত : ১১:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রাথমিকভাবে তিনটি রুটে চলাচল করবে। এতে দৈনিক আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। ২০২৬ সালে এই মেট্রোরেল চালু করার আশা করছে ডিএমআরটিডিপি কর্তৃপক্ষ।

 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমআরটিডিপি) (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবার ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত এবং ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে।

 

এতে আরও বলা হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড।

 

 

দুই স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল স্টেশনগুলোয় যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা করা মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। ঐকিক নিয়মে মেট্রোরেলের গতিবেগ হিসাব যুক্তিযুক্ত নয়।

 

এতে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১-এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কমবেশি ১০ মিটার থেকে ১৩ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে।

 

তবে কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্ততা কম থাকায় ওপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া কুড়িল থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা রোড লেভেল থেকে রেল লেভেলের উচ্চতা ১৪ দশমিক ১ মিটার থেকে ১৮ দশমিক ৩ মিটার রাখা হয়েছে।

 

অল্প সময়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহন সম্ভব জানিয়ে বলা হয়, প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ ৩০৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে এবং সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রো ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১-এর পাতাল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং উড়াল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এতে অল্প সময়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।