ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

দেহ দান করবেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা

টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। জীবন থেকে শিক্ষা নিতে বরাবরই পছন্দ করেন তিনি। তাই তো মৃত্যুর পর নিজের দেহ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এ অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তার ইচ্ছার কথাও জানান।

 

পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ দান দেখেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনটা জানিয়ে ঋতু বলেন, ‘আমার আপন ফুপু এবং ফুপা একই পথের পথিক। মৃত্যুর আগে তারা বুদ্ধদেবের মতো দেহ দান করে গিয়েছিলেন।

 

 

তাই আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল।’

 

 

তার এমন ইচ্ছার কথা মুহূর্তেই সাধারণ মানুষের মাঝে প্রভাব ফেলে দেয়। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সধুবাদ জানিয়ে তাকে জানাতে থাকে ভালোবাসা।

 

 

বুদ্ধদেবের শেষ যাত্রাতে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে গিয়ে তার সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত, আর প্রচণ্ড রসিক মানুষ ছিলেন। হেসে খেলে বাঁচতে পছন্দ করেন। মানুষের সঙ্গে রসিকতার মাধ্যমে আনন্দ পেতেন তিনি। তার আমলে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছি। যতবার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।’

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

দেহ দান করবেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা

প্রকাশিত : ০১:০৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। জীবন থেকে শিক্ষা নিতে বরাবরই পছন্দ করেন তিনি। তাই তো মৃত্যুর পর নিজের দেহ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এ অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তার ইচ্ছার কথাও জানান।

 

পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ দান দেখেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনটা জানিয়ে ঋতু বলেন, ‘আমার আপন ফুপু এবং ফুপা একই পথের পথিক। মৃত্যুর আগে তারা বুদ্ধদেবের মতো দেহ দান করে গিয়েছিলেন।

 

 

তাই আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল।’

 

 

তার এমন ইচ্ছার কথা মুহূর্তেই সাধারণ মানুষের মাঝে প্রভাব ফেলে দেয়। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সধুবাদ জানিয়ে তাকে জানাতে থাকে ভালোবাসা।

 

 

বুদ্ধদেবের শেষ যাত্রাতে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে গিয়ে তার সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত, আর প্রচণ্ড রসিক মানুষ ছিলেন। হেসে খেলে বাঁচতে পছন্দ করেন। মানুষের সঙ্গে রসিকতার মাধ্যমে আনন্দ পেতেন তিনি। তার আমলে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছি। যতবার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।’