ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ধেয়ে আসছে বন্যা, ডুবতে পারে সিলেট ও সুনামগঞ্জ

কয়েক দিন আগেই বন্যা দেখা দিয়েছিল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। একরকম তলিয়ে গিয়েছিল নদী তীরবর্তী অঞ্চল। টানা কয়েক দিনের ভোগান্তির পর নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

 

তবে এর রেশ না কাটতেই আবারও ধেয়ে আসছে বন্যা। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারি বর্ষণ হতে পারে। আর এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

 

শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বার্তায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

 

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

 

 

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

 

একই সঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

 

অপরদিকে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা আট দিন অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

 

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, সারা দেশে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অতিবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দর গুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

এ ছাড়াও পূর্বাভাস অনুযায়ী, অতিভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

 

 

এর আগে টানা ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের ফলে সিলেটের সমতল আর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বন্যায় তলিয়ে যায়। উজানের পানির কারণে দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাব। বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

ধেয়ে আসছে বন্যা, ডুবতে পারে সিলেট ও সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

কয়েক দিন আগেই বন্যা দেখা দিয়েছিল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। একরকম তলিয়ে গিয়েছিল নদী তীরবর্তী অঞ্চল। টানা কয়েক দিনের ভোগান্তির পর নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

 

তবে এর রেশ না কাটতেই আবারও ধেয়ে আসছে বন্যা। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারি বর্ষণ হতে পারে। আর এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

 

শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বার্তায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

 

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

 

 

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

 

একই সঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

 

অপরদিকে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা আট দিন অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

 

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, সারা দেশে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অতিবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দর গুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

এ ছাড়াও পূর্বাভাস অনুযায়ী, অতিভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

 

 

এর আগে টানা ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের ফলে সিলেটের সমতল আর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বন্যায় তলিয়ে যায়। উজানের পানির কারণে দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাব। বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো।