ভারতের ১৭ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তার। বিরাট কোহলির ব্যাটে চড়েই আজ প্রোটিয়াদের হারানোর মতো লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যই পর্যাপ্ত হয়ে দাঁড়ায় ভারতকে শিরোপা জেতানোর জন্য। আর শিরোপা জেতার আনন্দে থাকা ভারতীয় দল এবং ভক্তদের দুঃসংবাদই দিলেন কোহলি। জানালেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা কখনো জেতা হয়নি। তার মতো খেলোয়াড়ের বিশ্বকাপ না জেতা হতো ক্রিকেটের জন্য অন্যায়। সেটি হতে দিল না ক্রিকেট ঈশ্বর। বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা দিলেন বিরাট কোহলি। দুর্দান্ত খেলে ম্যাচ সেরারে পুরস্কার নিতে এসে নিজের মুখেই এ খবর জানান তিনি। সঞ্চালক হার্সা ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালই তার শেষ ম্যাচ ছিল। এখন পরবর্তী প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতে চান তিনি।
শনিবারের ম্যাচে কোহলি ৭৬ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন, যা ভারতকে বড় স্কোরে পৌঁছায়। ম্যাচের সেরা পুরস্কার গ্রহণ করে কোহলি বলেন, ‘এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। আমি যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম তা করেছি। মাঝে মাঝে মনে হয় রান পাচ্ছি না, কিন্তু তারপরেই বড় রান আসে। আমার কাছে বিষয়টা ছিল, এখন নয় তো কখনোই নয়।’
প্রথমে কোহলি অবসরের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু জানাননি। তবে ভোগলে পুনরায় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এটাই ভারতীয় দলের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম এবং তা পেরেছি। এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। দলে অসাধারণ কিছু ক্রিকেটার রয়েছে যারা দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং উচ্চতর স্থানে পৌঁছাবে।’
টি-টোয়েন্টিতে কোহলি ১২৫টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে ৪৮.৬৯ গড়ে ৪১৮৮ রান করেছেন। তার একমাত্র শতরান এসেছে গত বছর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার ৩৯টি অর্ধশতরান রয়েছে। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হারারে-তে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক করেছিলেন তিনি। কোহলির অবসরের পর ভারত আবার সেই দেশে সফরে যাচ্ছে, যেখানে তরুণ প্রজন্মকেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যেমনভাবে কোহলি একসময় সুযোগ পেয়েছিলেন।
২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ১৭ বছর পর আবার জয় পেল ভারত। কোহলি বলেন, ‘এই সময়টায় কতটা কষ্ট করতে হয়েছে তা কেবল আমরা জানি। রোহিতের মতো একজন ক্রিকেটারের দিকে তাকান, যিনি ৯টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। আমি খেলেছি ছয়টি। রোহিত এই ট্রফির যোগ্য। এই মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখা আমার পক্ষে কঠিন।’