ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
খামারি ও উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে এই মেলা

বাঁশখালীতে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী মেলা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে খামারি ও উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ এবং প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল মাঠে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)’র সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রদর্শনী মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা তাদের পালনকৃত উন্নত প্রজাতির গরু, মহিষ, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কুকুর, বিড়াল, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মেলা দেখতে সকাল থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় করতে শুরু করে। পরে দুপুর ৩টার দিকে মেলায় অংশগ্রহণকারী খামারিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এ প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার সমাপ্ত ঘোষণা হয়। এর আগে সকাল ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়।

 

এ সময় উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীর স্বাগত বক্তব্যে, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তারের সভাপতিত্বে, মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রেহেনা আক্তার কাজমী।

 

এ সময় ডা: শুভ দাশের সঞ্চালনায়, মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা, জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ, বাঁশখালী ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা প্রমুখ।

 

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে গরু মহিষ পালনের মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যা দূর করছে। যারা বেকার এখনো কোন কাজ পায়নি, তারা গবাদিপশু-পাখি পালনে এগিয়ে আসলে আমরা সহযোগিতা করব। আপনারা পশু পাখি পালন করে সফলতা অর্জন করতে পারেন। প্রাণী পালন করে দুধ, মাংস বিক্রি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। তাই ব্যাক্তি পর্যায়ে আরো বেশি করে খামার গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে অন্তত কয়েকটি মুরগী এবং গরু ছাগল পালন করা প্রয়োজন যাতে বাড়ি থেকেই দুধ ডিম মাংসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়। এতে দেশ এবং পরিবারের জন্য উপকার হবে।’

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

জনপ্রিয় সংবাদ

খামারি ও উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে এই মেলা

বাঁশখালীতে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী মেলা

প্রকাশিত : ০২:২৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে খামারি ও উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ এবং প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল মাঠে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)’র সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রদর্শনী মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা তাদের পালনকৃত উন্নত প্রজাতির গরু, মহিষ, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কুকুর, বিড়াল, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মেলা দেখতে সকাল থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় করতে শুরু করে। পরে দুপুর ৩টার দিকে মেলায় অংশগ্রহণকারী খামারিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এ প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার সমাপ্ত ঘোষণা হয়। এর আগে সকাল ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়।

 

এ সময় উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীর স্বাগত বক্তব্যে, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তারের সভাপতিত্বে, মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রেহেনা আক্তার কাজমী।

 

এ সময় ডা: শুভ দাশের সঞ্চালনায়, মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা, জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ, বাঁশখালী ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা প্রমুখ।

 

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে গরু মহিষ পালনের মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যা দূর করছে। যারা বেকার এখনো কোন কাজ পায়নি, তারা গবাদিপশু-পাখি পালনে এগিয়ে আসলে আমরা সহযোগিতা করব। আপনারা পশু পাখি পালন করে সফলতা অর্জন করতে পারেন। প্রাণী পালন করে দুধ, মাংস বিক্রি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। তাই ব্যাক্তি পর্যায়ে আরো বেশি করে খামার গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে অন্তত কয়েকটি মুরগী এবং গরু ছাগল পালন করা প্রয়োজন যাতে বাড়ি থেকেই দুধ ডিম মাংসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়। এতে দেশ এবং পরিবারের জন্য উপকার হবে।’