ঢাকা , শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বিসিবি সংস্কারের নতুন রূপরেখা ফাহিমের

দেশের বিভিন্ন সেক্টরে চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে এগোতে চায় সবাই। তেমনই দৃশ্যমান পরিবর্তন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) দেখতে চান কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

 

ইতোমধ্যে পরিবর্তনের রূপরেখাও তৈরি করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন এক সময় বিসিবি হাইপারফরম্যান্স বিভাগ, ক্রিকেট একাডেমি, গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ ও নারী উইংয়ে কাজ করা ফাহিম।

 

 

ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বোর্ড গঠনের নির্বাচন পর্যন্ত সবকিছুতেই সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।

 

শনিবার (১০ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিসিবিতে প্রায় ১৪ বছর কাজ করেছিলেন ফাহিম। কিন্তু এরপর আর সেখানে কাজের সুযোগ হয়নি তার। ২০১৯ সালে নারী বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

 

 

এরপর ২০২১ সালে বিসিবি কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-৩ থেকে অংশ নিলেও খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে হেরে যান তিনি। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক সব সময়ই একই দেখা গেছে।

 

লম্বা সময় থেকেই নাকি ক্রিকেটের সংস্কার নিয়ে ভাবছেন তিনি—এমনটা জানিয়ে ফাহিম বলেন, ‘এটা নিয়েই তো আমরা বছরের পর বছর চিন্তাভাবনা করেছি, বিশেষ করে আমি। কোন জায়গায় কী করলে আরেকটু এগোনো যায়, কোন জায়গায় ঘাটতি আছে। আমাদের কী রিসোর্স আছে, যা দিয়ে আমরা ওভারকাম করতে পারি। সামনে হয়তো এটা নিয়ে আমি আলাপও করব। কোন জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি, অথচ সে জায়গায় আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই।’

 

 

ক্রিকেট বোর্ডের এই সংস্কার যে কোনো পক্ষ থেকেই হতে পারে বলে মনে করেন ফাহিম। তার থাকা না থাকার চেয়ে পরিবর্তনটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি, ‘এটি (সংস্কারের ক্ষেত্রে) আমার ব্যাপার নয়। এটা যে কেউ হতে পারে। ক্রিকেটের ভালো চাওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু অন্যরকম। আমারই থাকতে হবে, এটা জরুরি নয়। আমাদের দেশে অনেকেই আছে। দেশের বাইরেও কিন্তু আমাদের লোকজন আছে। যারা যথেষ্ট অভিজ্ঞ, যাদের যোগ্যতা আছে। তাদের নিয়ে যদি চিন্তাভাবনা করা হয়, তাহলে বোধহয় তাদের মতো করে দায়িত্বটা নিতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’

 

পরিবর্তনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলে আলোচনায় সমস্যা নেই জানিয়ে এই ক্রিকেট কোচ বলেন, ‘অবশ্যই! ওখানে যদি ইনপুট দেওয়ার সুযোগ থাকে, অংশগ্রহণ করব। আমার মনে হয়, শুধু আমার কথা বললেই হবে না। যারা এসব বিষয়ে অবগত আছে, ধারণা আছে, তাদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া দরকার। বর্তমান অবস্থা কী বা কেমন হতে পারে, সেই ধারণা নিলে তাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ হয়।’

 

 

বর্তমানে রাজনৈতিক কারণে বোর্ডের অনেক পরিচালকের খোঁজখবর নেই। এটাকেও নেতৃত্বের নেতিবাচক দিক মনে করেন তিনি। ভবিষ্যতে যেন ক্রিকেট বোর্ডের এ ধরনের কোনো ঝুঁকিতে পড়তে না হয়, সেটার সমাধান প্রত্যাশা ফাহিমের।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

বিসিবি সংস্কারের নতুন রূপরেখা ফাহিমের

প্রকাশিত : ১২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

দেশের বিভিন্ন সেক্টরে চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে এগোতে চায় সবাই। তেমনই দৃশ্যমান পরিবর্তন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) দেখতে চান কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

 

ইতোমধ্যে পরিবর্তনের রূপরেখাও তৈরি করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন এক সময় বিসিবি হাইপারফরম্যান্স বিভাগ, ক্রিকেট একাডেমি, গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ ও নারী উইংয়ে কাজ করা ফাহিম।

 

 

ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বোর্ড গঠনের নির্বাচন পর্যন্ত সবকিছুতেই সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।

 

শনিবার (১০ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিসিবিতে প্রায় ১৪ বছর কাজ করেছিলেন ফাহিম। কিন্তু এরপর আর সেখানে কাজের সুযোগ হয়নি তার। ২০১৯ সালে নারী বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

 

 

এরপর ২০২১ সালে বিসিবি কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-৩ থেকে অংশ নিলেও খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে হেরে যান তিনি। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক সব সময়ই একই দেখা গেছে।

 

লম্বা সময় থেকেই নাকি ক্রিকেটের সংস্কার নিয়ে ভাবছেন তিনি—এমনটা জানিয়ে ফাহিম বলেন, ‘এটা নিয়েই তো আমরা বছরের পর বছর চিন্তাভাবনা করেছি, বিশেষ করে আমি। কোন জায়গায় কী করলে আরেকটু এগোনো যায়, কোন জায়গায় ঘাটতি আছে। আমাদের কী রিসোর্স আছে, যা দিয়ে আমরা ওভারকাম করতে পারি। সামনে হয়তো এটা নিয়ে আমি আলাপও করব। কোন জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি, অথচ সে জায়গায় আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই।’

 

 

ক্রিকেট বোর্ডের এই সংস্কার যে কোনো পক্ষ থেকেই হতে পারে বলে মনে করেন ফাহিম। তার থাকা না থাকার চেয়ে পরিবর্তনটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি, ‘এটি (সংস্কারের ক্ষেত্রে) আমার ব্যাপার নয়। এটা যে কেউ হতে পারে। ক্রিকেটের ভালো চাওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু অন্যরকম। আমারই থাকতে হবে, এটা জরুরি নয়। আমাদের দেশে অনেকেই আছে। দেশের বাইরেও কিন্তু আমাদের লোকজন আছে। যারা যথেষ্ট অভিজ্ঞ, যাদের যোগ্যতা আছে। তাদের নিয়ে যদি চিন্তাভাবনা করা হয়, তাহলে বোধহয় তাদের মতো করে দায়িত্বটা নিতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’

 

পরিবর্তনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলে আলোচনায় সমস্যা নেই জানিয়ে এই ক্রিকেট কোচ বলেন, ‘অবশ্যই! ওখানে যদি ইনপুট দেওয়ার সুযোগ থাকে, অংশগ্রহণ করব। আমার মনে হয়, শুধু আমার কথা বললেই হবে না। যারা এসব বিষয়ে অবগত আছে, ধারণা আছে, তাদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া দরকার। বর্তমান অবস্থা কী বা কেমন হতে পারে, সেই ধারণা নিলে তাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ হয়।’

 

 

বর্তমানে রাজনৈতিক কারণে বোর্ডের অনেক পরিচালকের খোঁজখবর নেই। এটাকেও নেতৃত্বের নেতিবাচক দিক মনে করেন তিনি। ভবিষ্যতে যেন ক্রিকেট বোর্ডের এ ধরনের কোনো ঝুঁকিতে পড়তে না হয়, সেটার সমাধান প্রত্যাশা ফাহিমের।