ঢাকা , শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বিসিবি সভাপতি পাপন যুগের অবসান

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ১২ বছরের পাপন যুগের অবসান হচ্ছে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্য ও মন্ত্রী হওয়ার কারণে তখন থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কয়েক দিন ধরেই অবশ্য ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন ছিল বিসিবির সভাপতি পদ ছাড়তে যাচ্ছেন তিনি। অবশেষে সে গুঞ্জনই সত্যি হলো, বিসিবির সভাপতির পদ ছাড়লেন নাজমুল হাসান পাপন। পাপনের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ক্রিকেট পরিচালকও পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

 

 

বিসিবিতে পাপন যুগের শুরু ২০১২ সালে। বিদায়ী সভাপতি মুস্তাফা কামালের স্থলাভিষিক্ত হয়ে সভাপতি মনোনয়ন পান তিনি ২০১২ সালে। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে পাকাপাকিভাবে বসেন তিনি।

 

এখন বিসিবিতে অপেক্ষা নতুন সভাপতির। গুঞ্জন রয়েছে ফারুক আহমেদ পেতে যাচ্ছেন সে দায়িত্ব। বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে বিসিবির বোর্ড সভার পর কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত।

 

 

নিজের দায়িত্বকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকেই টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে বেশ কিছু বিতর্ক ছিল তার শাসনামল নিয়ে।

 

পাপন ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচন জিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাপন ২০১৩ সালে এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন পাপন।

 

এদিকে ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ সরে যাওয়ার পরই নাজমুল হাসান পাপনের সরে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি হয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীও। ক্রিকেট বোর্ডেও ছিল তার একক আধিপত্য। বোর্ডের গঠনতন্ত্রে দুই সহ-সভাপতির কথা উল্লেখ থাকলেও সেসব পদ শূন্যই ছিল তার মেয়াদে।

 

 

নাজমুল হাসান পাপন বর্তমান কোথায় রয়েছেন তা অজানা তবে ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। তবে পাপন নিজে পদত্যাগ করায় সে শঙ্কা আপাতত দূর হলো।

 

 

বিসিবির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালক বোর্ডের সদস্যদের অন্তত ৯ জনের উপস্থিতি দরকার। তবে পরিচালক না হলেও এতে উপস্থিত হয়েছেন ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিম। অন্যদিকে পরিচালকদের মধ্যে সাজ্জাদুল আলম ববি বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

বিসিবি সভাপতি পাপন যুগের অবসান

প্রকাশিত : ০৩:০৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ১২ বছরের পাপন যুগের অবসান হচ্ছে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্য ও মন্ত্রী হওয়ার কারণে তখন থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কয়েক দিন ধরেই অবশ্য ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন ছিল বিসিবির সভাপতি পদ ছাড়তে যাচ্ছেন তিনি। অবশেষে সে গুঞ্জনই সত্যি হলো, বিসিবির সভাপতির পদ ছাড়লেন নাজমুল হাসান পাপন। পাপনের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ক্রিকেট পরিচালকও পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

 

 

বিসিবিতে পাপন যুগের শুরু ২০১২ সালে। বিদায়ী সভাপতি মুস্তাফা কামালের স্থলাভিষিক্ত হয়ে সভাপতি মনোনয়ন পান তিনি ২০১২ সালে। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে পাকাপাকিভাবে বসেন তিনি।

 

এখন বিসিবিতে অপেক্ষা নতুন সভাপতির। গুঞ্জন রয়েছে ফারুক আহমেদ পেতে যাচ্ছেন সে দায়িত্ব। বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে বিসিবির বোর্ড সভার পর কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত।

 

 

নিজের দায়িত্বকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকেই টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে বেশ কিছু বিতর্ক ছিল তার শাসনামল নিয়ে।

 

পাপন ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচন জিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাপন ২০১৩ সালে এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন পাপন।

 

এদিকে ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ সরে যাওয়ার পরই নাজমুল হাসান পাপনের সরে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি হয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীও। ক্রিকেট বোর্ডেও ছিল তার একক আধিপত্য। বোর্ডের গঠনতন্ত্রে দুই সহ-সভাপতির কথা উল্লেখ থাকলেও সেসব পদ শূন্যই ছিল তার মেয়াদে।

 

 

নাজমুল হাসান পাপন বর্তমান কোথায় রয়েছেন তা অজানা তবে ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। তবে পাপন নিজে পদত্যাগ করায় সে শঙ্কা আপাতত দূর হলো।

 

 

বিসিবির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালক বোর্ডের সদস্যদের অন্তত ৯ জনের উপস্থিতি দরকার। তবে পরিচালক না হলেও এতে উপস্থিত হয়েছেন ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিম। অন্যদিকে পরিচালকদের মধ্যে সাজ্জাদুল আলম ববি বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি।