ইনজুরি কাটিয়ে লিওনেল মেসি ফিরলেন একাদশে। তাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত দলের ফুটবলাররা। কয়েকদিনের বিশ্রামে বিশ্বকাপজয়ী তারকাকেও মাঠে বেশ চাঙা মনে হয়। গোলও করলেন। কিন্তু রুখতে পারলেন না ইন্টার মায়ামির হার।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোরে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আটলান্টা ইউনাইটেডের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে মেসি-সুয়ারেজরা। অথচ চার দিন আগে মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও সার্জিও বুস্কেটসকে ছাড়াই ভ্যাঙ্কুভারকে ২-১ গোলে হারিয়ে ছিল ফ্লোরিডার দলটি।
চলতি মৌসুমে মায়ামির এটি তৃতীয় হার। অন্যদিকে চতুর্থ জয় পেয়েছে আটলান্টা। এমন হারের পরও এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মেসিরা। এজন্য অবশ্য তারা ধন্যবাদ দিতে পারে সিনসিনাতিকে। কারণ ন্যাশভিলের কাছে ২-০ গোলে সিনসিনাতির হারে, ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষেই আছে ইন্টার মায়ামি।
বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার ভোরে পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে থাকা সেন্ট লুইস সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। এ ম্যাচে বিশ্বকাপজয়ী তারকা খেলবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। কয়েকদিন পরে মাঠে গড়াবে লাতিন অঞ্চলের ফুটবলীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকার কাপ।
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে পুরোপুরি ফিট মেসিকে চায় আর্জেন্টিনা। এ জন্য পয়েন্টে টেবিলে পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে একাদশে না থাকতে পারেননি তিনি। গত ১১ মে এমএলএসের ম্যাচে মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে বাঁ-পায়ে আঘাত পান মেসি। এরপর থেকে ছিলেন বিশ্রামে।
এ জন্য আটলান্টার বিপক্ষে পুরো সময় মাঠে ছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ম্যাচের শুরুতেই গোল পেতে পারতেন তিনি। তার হেড অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়। তবে জর্দি আলবা, সুয়ারেজ ও মেসির আক্রমণগুলো বেশ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করে আটলান্টার অবিচল রক্ষণ।
ম্যাচে ৪৪ মিনিটে সাবা লোবজানিদজের গোলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন জর্জিয়ার এই মিডফিল্ডার। মৌসুমের লোবজানিদজের চতুর্থ গোল এটি। এর ৩ মিনিট পর গোল ব্যবধান কমিয়ে ২-১ গোলে মেসি। ১১ গোল নিয়ে সুয়ারেজের সঙ্গে যৌথ্যভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে আছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
৭৩ মিনিটে জামাল থিয়েরে গোলে আটলান্টার বিপক্ষে ৩-১ গোলের হার নিশ্চিত হয় ইন্টার মায়ামির।