ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পরও বেঁচে ছিলেন এক আরোহী

ইরানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গী এক আরোহী বেঁচে ছিলেন। তিনি এক ঘণ্টার মতো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন। এ সময় ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করেন তিনি। খবর বিবিসির।

 

জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলি আল-এ হাশেম। তিনি তাবরিজের শুক্রবারের ইমাম ছিলেন।

 

 

ইরানের ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্ট এজেন্সি বলছে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে এক ব্যক্তি যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। তার একটি ‘অস্পষ্ট ফোন কলে’ দুর্ঘটনার খবরটি জানেন কর্মকর্তারা। এখন জানা যাচ্ছে, মোহাম্মদ আলি আল-এ হাশেমই ছিলেন ওই ব্যক্তি।

 

হাশেম দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতিনিধি ছিলেন। পূর্ব আজারবাইজানে তিনি সম্মানিত ছিলেন।

 

 

ইরানের ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্ট এজেন্সির প্রধান মোহাম্মদ নামি বলেন, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর আল-হাশেম এক ঘণ্টার মতো বেঁচে ছিলেন। এমনকি তিনি প্রেসিডেন্টের দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন।

 

এ সূত্র হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ জানতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

 

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববারের (১৯ মে) এ দুর্ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বর্ণনায় ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হয়। কিন্তু এতে হেলিকপ্টারটির অবস্থা কী হয়েছে তা তখন বলা হয়নি। এ পরিভাষায় কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।

 

যখন ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা নিশ্চুপ তখনই দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছিল, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু পরে যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

 

 

এরপর ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেখান থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। এ বর্ণনা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যু বা হতাহতের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়। ইরানের কর্মকর্তারা বলেন, এর মানে হচ্ছে দুর্ঘটনায় পড়া হেলিকপ্টারের আরোহীরা বেঁচে আছেন।

 

 

কিন্তু শেষমেশ হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। জানানো হয়, এ দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ সবাই মারা গেছেন।

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পরও বেঁচে ছিলেন এক আরোহী

প্রকাশিত : ১১:১৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ইরানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গী এক আরোহী বেঁচে ছিলেন। তিনি এক ঘণ্টার মতো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন। এ সময় ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করেন তিনি। খবর বিবিসির।

 

জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলি আল-এ হাশেম। তিনি তাবরিজের শুক্রবারের ইমাম ছিলেন।

 

 

ইরানের ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্ট এজেন্সি বলছে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে এক ব্যক্তি যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। তার একটি ‘অস্পষ্ট ফোন কলে’ দুর্ঘটনার খবরটি জানেন কর্মকর্তারা। এখন জানা যাচ্ছে, মোহাম্মদ আলি আল-এ হাশেমই ছিলেন ওই ব্যক্তি।

 

হাশেম দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতিনিধি ছিলেন। পূর্ব আজারবাইজানে তিনি সম্মানিত ছিলেন।

 

 

ইরানের ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্ট এজেন্সির প্রধান মোহাম্মদ নামি বলেন, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর আল-হাশেম এক ঘণ্টার মতো বেঁচে ছিলেন। এমনকি তিনি প্রেসিডেন্টের দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন।

 

এ সূত্র হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ জানতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

 

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববারের (১৯ মে) এ দুর্ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বর্ণনায় ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হয়। কিন্তু এতে হেলিকপ্টারটির অবস্থা কী হয়েছে তা তখন বলা হয়নি। এ পরিভাষায় কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।

 

যখন ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা নিশ্চুপ তখনই দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছিল, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু পরে যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

 

 

এরপর ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেখান থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। এ বর্ণনা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যু বা হতাহতের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়। ইরানের কর্মকর্তারা বলেন, এর মানে হচ্ছে দুর্ঘটনায় পড়া হেলিকপ্টারের আরোহীরা বেঁচে আছেন।

 

 

কিন্তু শেষমেশ হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। জানানো হয়, এ দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ সবাই মারা গেছেন।