পাঞ্জাব কিংসের দেয়া ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরলেন ট্রাভিস হেড। পুরো আসরে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাতিয়ে রাখা হেডকে হারালেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে পথ হারাতে দেননি অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, নীতিশ রেড্ডি এবং হেনরিখ ক্লাসেন।
তাদের চারজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে হায়দরাবাদ। পাঞ্জাবের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠেছে প্যাট কামিন্সের দল। এদিকে হায়দরাবাদের এমন জয়ে খানিকটা চাপে পড়ে গেছে রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারাতেই হবে সাঞ্জু স্যামসনের দলকে।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২১৫ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। আর্শদীপ সিংয়ের অফ স্টাম্পে পড়ে খুব বেশি সুইং না করা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন হেড। খানিকটা স্কিড করায় বলের লাইনেই যেতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর হায়দরাবাদের হাল ধরেন ত্রিপাঠি ও অভিষেক।
তিনে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ত্রিপাঠি। যদিও পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। হার্শাল প্যাটেলের অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আর্শদীপের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৮ বলে ৩৩ রান করা ত্রিপাঠি। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৪ রান তোলে স্বাগতিকরা।
আইপিএলের এবারের আসরে নিজেকে নতুনভাবে চেনানো অভিষেক চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর তাকে খুব বেশি সময় টিকতে দেননি শশাঙ্ক সিং। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারিতে শিভাম সিংয়ের হাতে ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা অভিষেককে ফিরতে হয় ২৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। দ্রুত রান তুলতে থাকেন নীতিশ।
যদিও হাফ সেঞ্চুরির আগে ২৫ বলে ৩৩ রানে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। পঞ্চাশ ছোঁয়া হয়নি ক্লাসেনেরও। হারপ্রীত ব্রারের বলে ফেরার আগে খেলেছেন ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস। তবুও হায়দরাবাদের জয় আটকানো যায়নি। পাঞ্জাবের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আর্শদীপ ও হার্শাল।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৯৭ রান তোলে পাঞ্জাব। আথার্ভ টাইডি ৪৬ রানে ফিরলেও আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস খেলে। তিনে নেমে ২৪ বলে ৪৯ রান করেছেন রাইলি রুশো। এদিন পাঞ্জাবের একাদশে একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন সাউথ আফ্রিকার এই ব্যাটার। শেষদিকে জিতেশ শর্মার ১৫ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ২১৪ রানের পুঁজি পায় পাঞ্জাব। হায়দরাবাদের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন থাঙ্গারাসু নাটারাজন।