ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

লঙ্কানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের

১২৫ রান তাড়ায় খুব বেশি তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন ছিল না বাংলাদেশের। অথচ ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বিপক্ষে প্রথম বলটাই স্লগ সুইপ করার চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার।

 

পরের বলে ধনাঞ্জয়ার শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড অনে থাকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য। পরের ওভারে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও।

 

 

নুয়ান থুসারার ফুল লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট চালালেও বলের লাইনে যেতে পারেনি তিনি। এমনকি পায়ের মুভমেন্টও ছিল না তেমন। ফলে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় ৩ রান করা তানজিদকে।

 

৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্ব ছিল প্রতিরোধ গড়া। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেটা চেষ্টাও করেছিলেন তারা দুজন। তবে লিটন ও শান্তর জুটি বড় হতে দেননি থুসারা।

 

 

ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ক্রিজের বাইরে দাঁড়ানো শান্ত। তবে ঠিকঠাক ড্রাইভ করতে না পারায় কভারে দাঁড়িয়ে থাকা চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৭ রান করা বাংলাদেশের অধিনায়ককে। শান্ত ফিরে গেলেও বাংলাদেশকে পথ হারাতে দেননি হৃদয় ও লিটন দাস। তারা দুজনে মিলে ক্রমশই টাইগারদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।

 

ইনিংসের ১৩তম ওভারে হাসারাঙ্গার উপর চড়াও হন হৃদয়। শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের টানা তিন বলে তিন ছক্কা মেরেছেন তিনি। যদিও পরের বলে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটারকে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও ২০ বলে ৪০ রান করা হৃদয়কে ফিরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এরপর লিটনকেও ফিরিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের গুগলিতে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৩৬ রানের ইনিংস খেলা লিটন।

 

 

বাংলাদেশ যখন জয়ের খুব কাছে তখন ছয়ে নেমে মাথিশা পাথিরানার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়েছেন। ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকা সাকিব আউট হয়েছেন ৮ রানে। পরের ওভারে এসে পরপর দুই বলে রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে বিদায় করেছেন থুসারা।

 

এর আগে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কুশাল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা দেশে শুনে শুরু করলেও বাজে বলগুলোর ওপর চড়াও হয়েছিলেন। তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে লঙ্কানদের রানের খাতা খোলেন নিশাঙ্কা।

 

এরপর অবশ্য বেশ ভালোভাবেই ক্যামব্যাক করেন তিনি। পরের চার বলে নেন মাত্র ১ রান। পরের ওভার করতে সাকিব আল হাসানের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় বলেই মিড উইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তানজিম সেখান থেকে থ্রো করেছিলেন। যদিও বল নাগালে পাননি উইকেটরক্ষক লিটন দাস। পেছনে ছিলেন না আর কোনো ফিল্ডার। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ফলে ৫ রান যোগ হয় শ্রীলঙ্কার খাতায়।

 

 

টানা দুটি চার দিয়ে তাসকিন আহমেদকে স্বাগত জানিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। তাসকিনের লেংথ বলে ডিফেন্ড করবেন নাকি কাট করবেন সেই ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন মেন্ডিস। শেষ পর্যন্ত আর ফলাফল ইন সাইড এজ হয়ে বোল্ড। ফলে তৃতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ৮ বলে ১০ করে আউট হতে হয়েছে মেন্ডিসকে। পরের বলেই তাসকিনকে চার মারেন নতুন ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস।

 

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারটি করতে এসেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান এই পেসার। মুস্তাফিজের বলে মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন ৫ বলে ৪ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস। দ্রুতই ২ উইকেট হারানোর পরও এক প্রান্তে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন নিশাঙ্কা। ইনিংসের নবম ওভারে গিয়ে ডানহাতি এই ওপেনারের ঝড় থামিয়েছেন মুস্তাফিজ।

 

বাঁহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কভারে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা নিশাঙ্কাকে ফিরতে হয় ২৮ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এরপর শ্রীলঙ্কার রানের চাকা কিছুটা ধীর হয়ে যায়।

 

দারুণ শুরু পাওয়া চারিথ আসালাঙ্কাকে ইনিংস বড় করতে দেননি রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দুইবারের চেষ্টায় ক্যাচ নিয়েছেন সাকিব। পরের বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। নিজের পরের ওভারে এসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ।

 

 

২৬ বলে ২১ রান করা এই ব্যাটার এগিয়ে গিয়ে রিশাদের ফ্লাইটেড ডেলিভারি খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফিরেছেন।৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে নিজের বোলিং কোটা শেষ করেছেন এই লেগ স্পিনার। নিজের শেষ ওভারে এসে দাসুন শানাকাকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন তাসকিন। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ ফিরিয়েছেন মাহিশ থিকশানাকে।

 

মুস্তাফিজের গুড লেংথের বলে লিডিং এজ হয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চলে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই লঙ্কান ব্যাটার। তানজিম সাকিব ইনিংসের শেষ ওভারে এসে আউট করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। এই পেসারের স্লোয়ার বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আর তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে ইনিংস শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

 

শ্রীলঙ্কা– ১২৪/৯ (২০ ওভার) (নিশানকা ৪৭, ধনাঞ্জয়া ২১, আসালাঙ্কা ১৯; মুস্তাফিজ ৩/১৭, রিশাদ ৩/২২, তাসকিন ২/২৫)।

 

বাংলাদেশ-   ১২৫/৮ (১৯ ওভার) (সৌম্য ০, তানজিদ ৩, শান্ত ৭, লিটন ৩৬, হৃদয় ৪০)।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

লঙ্কানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের

প্রকাশিত : ১০:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

১২৫ রান তাড়ায় খুব বেশি তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন ছিল না বাংলাদেশের। অথচ ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বিপক্ষে প্রথম বলটাই স্লগ সুইপ করার চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার।

 

পরের বলে ধনাঞ্জয়ার শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড অনে থাকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য। পরের ওভারে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও।

 

 

নুয়ান থুসারার ফুল লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট চালালেও বলের লাইনে যেতে পারেনি তিনি। এমনকি পায়ের মুভমেন্টও ছিল না তেমন। ফলে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় ৩ রান করা তানজিদকে।

 

৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্ব ছিল প্রতিরোধ গড়া। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেটা চেষ্টাও করেছিলেন তারা দুজন। তবে লিটন ও শান্তর জুটি বড় হতে দেননি থুসারা।

 

 

ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ক্রিজের বাইরে দাঁড়ানো শান্ত। তবে ঠিকঠাক ড্রাইভ করতে না পারায় কভারে দাঁড়িয়ে থাকা চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৭ রান করা বাংলাদেশের অধিনায়ককে। শান্ত ফিরে গেলেও বাংলাদেশকে পথ হারাতে দেননি হৃদয় ও লিটন দাস। তারা দুজনে মিলে ক্রমশই টাইগারদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।

 

ইনিংসের ১৩তম ওভারে হাসারাঙ্গার উপর চড়াও হন হৃদয়। শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের টানা তিন বলে তিন ছক্কা মেরেছেন তিনি। যদিও পরের বলে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটারকে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও ২০ বলে ৪০ রান করা হৃদয়কে ফিরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এরপর লিটনকেও ফিরিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের গুগলিতে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৩৬ রানের ইনিংস খেলা লিটন।

 

 

বাংলাদেশ যখন জয়ের খুব কাছে তখন ছয়ে নেমে মাথিশা পাথিরানার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়েছেন। ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকা সাকিব আউট হয়েছেন ৮ রানে। পরের ওভারে এসে পরপর দুই বলে রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে বিদায় করেছেন থুসারা।

 

এর আগে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কুশাল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা দেশে শুনে শুরু করলেও বাজে বলগুলোর ওপর চড়াও হয়েছিলেন। তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে লঙ্কানদের রানের খাতা খোলেন নিশাঙ্কা।

 

এরপর অবশ্য বেশ ভালোভাবেই ক্যামব্যাক করেন তিনি। পরের চার বলে নেন মাত্র ১ রান। পরের ওভার করতে সাকিব আল হাসানের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় বলেই মিড উইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তানজিম সেখান থেকে থ্রো করেছিলেন। যদিও বল নাগালে পাননি উইকেটরক্ষক লিটন দাস। পেছনে ছিলেন না আর কোনো ফিল্ডার। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ফলে ৫ রান যোগ হয় শ্রীলঙ্কার খাতায়।

 

 

টানা দুটি চার দিয়ে তাসকিন আহমেদকে স্বাগত জানিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। তাসকিনের লেংথ বলে ডিফেন্ড করবেন নাকি কাট করবেন সেই ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন মেন্ডিস। শেষ পর্যন্ত আর ফলাফল ইন সাইড এজ হয়ে বোল্ড। ফলে তৃতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ৮ বলে ১০ করে আউট হতে হয়েছে মেন্ডিসকে। পরের বলেই তাসকিনকে চার মারেন নতুন ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস।

 

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারটি করতে এসেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান এই পেসার। মুস্তাফিজের বলে মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন ৫ বলে ৪ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস। দ্রুতই ২ উইকেট হারানোর পরও এক প্রান্তে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন নিশাঙ্কা। ইনিংসের নবম ওভারে গিয়ে ডানহাতি এই ওপেনারের ঝড় থামিয়েছেন মুস্তাফিজ।

 

বাঁহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কভারে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা নিশাঙ্কাকে ফিরতে হয় ২৮ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এরপর শ্রীলঙ্কার রানের চাকা কিছুটা ধীর হয়ে যায়।

 

দারুণ শুরু পাওয়া চারিথ আসালাঙ্কাকে ইনিংস বড় করতে দেননি রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দুইবারের চেষ্টায় ক্যাচ নিয়েছেন সাকিব। পরের বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। নিজের পরের ওভারে এসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ।

 

 

২৬ বলে ২১ রান করা এই ব্যাটার এগিয়ে গিয়ে রিশাদের ফ্লাইটেড ডেলিভারি খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফিরেছেন।৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে নিজের বোলিং কোটা শেষ করেছেন এই লেগ স্পিনার। নিজের শেষ ওভারে এসে দাসুন শানাকাকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন তাসকিন। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ ফিরিয়েছেন মাহিশ থিকশানাকে।

 

মুস্তাফিজের গুড লেংথের বলে লিডিং এজ হয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চলে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই লঙ্কান ব্যাটার। তানজিম সাকিব ইনিংসের শেষ ওভারে এসে আউট করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। এই পেসারের স্লোয়ার বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আর তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে ইনিংস শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

 

শ্রীলঙ্কা– ১২৪/৯ (২০ ওভার) (নিশানকা ৪৭, ধনাঞ্জয়া ২১, আসালাঙ্কা ১৯; মুস্তাফিজ ৩/১৭, রিশাদ ৩/২২, তাসকিন ২/২৫)।

 

বাংলাদেশ-   ১২৫/৮ (১৯ ওভার) (সৌম্য ০, তানজিদ ৩, শান্ত ৭, লিটন ৩৬, হৃদয় ৪০)।