ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিগগিরই নেপাল থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ

জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও নেপাল। ফলে ভারত হয়ে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে নেপালের বিদ্যুৎ।

 

সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানিতে নেপাল ভারতের অনুমতি চেয়েছে। কেননা দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে হবে। নেপালের এ আহ্বানে ভারত সাড়া দিয়েছে। ফলে শিগগিরই ভারত হয়ে নেপালের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি মিলবে।

 

দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, গত ৩ থেকে ৬ নভেম্বর নেপালের জ্বালানি ও পানিসম্পদমন্ত্রী দীপক খাড়কা ভারত সফর করেছেন। এ সময় তিনি ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ও পানিসম্পদমন্ত্রী সি আর পাতিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে জ্বালানি, পানিসম্পদ এবং সেচ খাতে সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভারতের সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।

 

সফর শেষে দেশে ফিরে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দীপক খাড়কা। এ সময় তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে নেপাল ভারতের মাধ্যমে ১৫ জুলাই থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমতি চেয়েছে। ফলে নেপালকে এ বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নেপালের অনুরোধে ভারত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তারা দ্রুত অনুমতির আশ্বাস দিয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত তিন অক্টোবর নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন। এ এতে আরও অংশ নেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেডের (এনভিভিএন) প্রতিনিধিরা।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই নেপাল থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৩:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও নেপাল। ফলে ভারত হয়ে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে নেপালের বিদ্যুৎ।

 

সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানিতে নেপাল ভারতের অনুমতি চেয়েছে। কেননা দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে হবে। নেপালের এ আহ্বানে ভারত সাড়া দিয়েছে। ফলে শিগগিরই ভারত হয়ে নেপালের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি মিলবে।

 

দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, গত ৩ থেকে ৬ নভেম্বর নেপালের জ্বালানি ও পানিসম্পদমন্ত্রী দীপক খাড়কা ভারত সফর করেছেন। এ সময় তিনি ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ও পানিসম্পদমন্ত্রী সি আর পাতিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে জ্বালানি, পানিসম্পদ এবং সেচ খাতে সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভারতের সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।

 

সফর শেষে দেশে ফিরে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দীপক খাড়কা। এ সময় তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে নেপাল ভারতের মাধ্যমে ১৫ জুলাই থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমতি চেয়েছে। ফলে নেপালকে এ বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নেপালের অনুরোধে ভারত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তারা দ্রুত অনুমতির আশ্বাস দিয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত তিন অক্টোবর নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন। এ এতে আরও অংশ নেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেডের (এনভিভিএন) প্রতিনিধিরা।