ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশে ফেরার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপাসন সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন।
সোমবার (১০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দরজায় দুহাত মেলে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন সময় তার দিকে এগিয়ে এলেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলেন। তখনও তাদের মুখে হাসির ছাপ স্পষ্ট ছিল।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, সোনিয়া গান্ধীর ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। তার পরনে রয়েছে সাদা কুর্তি আর পায়জামা। তিনিও এগিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রীকে সম্ভাষণ জানান। এরপর এগিয়ে আসেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে তিনিও খোঁজখবর নেন।
ভারতীয় কংগ্রেসের এক্স পেজে এ ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, আজ নয়াদিল্লিতে সিপিপি চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে দুদলের মধ্যে আস্থা, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের বিস্তারের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গত রোববার বিভিন্ন দেশের অতিথিদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন।
এ ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দুই নেতা একে অপরের খোঁজখবর নেন। এরপর মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও শেসেলের শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।