ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম

১৮ দিন সাগরে ভেসে থাকার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন জেলেরা

  • আলা উদ্দিন
  • প্রকাশিত : ১০:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ৩৭৮

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম

১৮ দিন সাগরে ভেসে থাকার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন জেলেরা

প্রকাশিত : ১০:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।