রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর ফ্রান্সের জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন রাফায়েল ভারান। সময়ের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে। তবে ইনজুরির কাছে হার মানলেন তিনি। মাত্র ৩১ বছর বয়সেই ফুটবলকে বিদায় জানালেন ভারান।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অবস্থায় রিয়াল ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। এরপর গত জুলাইয়ে যোগ দেন ইতালিয়ান ক্লাব কোমোয়। গত ১১ আগস্ট কোপা ইতালিয়ার ম্যাচে চোট পান হাঁটুতে। ফলে ক্লাবের স্কোয়াডে থেকে বাদ পড়েন তিনি। তাই অনেকটা অভিমানে ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ফেললেন ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা।
রিয়াল মাদ্রিদে টানা ১০ মৌসুম কাটান ভারান। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ৩৬০ ম্যাচে ৩ বার লা লিগা ও ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। এ ছাড়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জেতেন একাধিকবার। সব মিলিয়ে রিয়ালের জার্সিতে জিতেছেন ১৮ শিরোপা।
২০২১ সালের জুলাইয়ে রিয়াল ছেড়ে যোগ দেন ম্যানইউতে। ২০২২-২৩ মৌসুমে জেতেন লিগ কাপ। আর গত মৌসুমে ম্যানইউ ঘরে তোলে এফএ কাপ। ইংলিশ ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে, ফ্রি এজেন্ট হিসেবে তিনি যোগ দেন এফসি কোমোয়।
ইতালিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি ছিল দুই বছরের। আরও এক মৌসুম চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ ছিল। তবে ইনজুরি পড়ে বিদায় বললেন ফুটবল ক্যারিয়ারকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভারান লিখেন ‘সব ভালোরই শেষ আছে। কোনো অনুশোচনা নেই। বিপুল গর্ব ও পূর্ণতার অনুভূতি এনে দিয়েছে।’
অবসরের ঘোষণায় তিনি আরও লিখেন, ‘তারা বলে থাকে, প্রত্যেক ভালো বিষয়েরই শেষ আছে। আমার পুরো ফুটবল ক্যারিয়ারে অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, একের পর এক উপলক্ষ এসেছে, সবকিছুই এক সময় অসম্ভবও মনে হয়েছিল। যেখানে অবিশ্বাস্য আবেগ, স্মরণীয় মুহূর্ত এবং আজীবন রয়ে যাবে এমন স্মৃতি তৈরি হয়েছে। যেসব ঘটনা মনে করে নিজের অবসর ঘোষণার মুহূর্তে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে। আমি হাজার বার পড়েছি এবং তা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি। এখন সেই সময় যখন বুটজোড়া ঝুলিয়ে রাখতে হবে, ওয়েম্বলিতে খেলা আমার শেষ ম্যাচের পর।’
ফরাসি ক্লাব লেঁসের বয়সভিত্তিক দল দিয়ে শুরু হয়ে তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার। ২০১০-১১ মৌসুমে সুযোগ পান দলটির সিনিয়র দলে। পরের মৌসুমে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে।
২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি ২০২১ সালে নেশন্স লিগের শিরোপাও জেতেন ভারান। জাতীয় দলের জার্সিতে ৯৩ ম্যাচে করেছেন ৫ গোল।
এর আগে ২০২৩ সালে ঠাসা সূচির কারণে ফুটবলকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ্য করেন তিনি। সে সময় বলেছিলেন, ‘অনেক বছর ধরেই আমরা কোচ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনেক ম্যাচের সূচি নিয়ে আলাপ করছি। একদম উপচে পড়া সূচি। খেলোয়াড়দের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে এটি বিপজ্জনক।’