অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগে সম্প্রতি রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। নায়িকার অভিযোগ, অনেকদিন ধরে বেশকিছু ব্যক্তি ও ব্লগার তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে তার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে।
অপু বিশ্বাসের অভিযোগে তদন্তে নামে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন সিটিটিসি। এরই মধ্যে একজন পুরুষ ও দুজন নারী কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে ডেকে সতর্ক করেছে সিটিটিসি। সিটিটিসি’র ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ওই পেজ থেকে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন।
সম্প্রতি সিটিটিসি প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোস্টিংয়ের নামে সংস্কৃতিকর্মীদের টার্গেট করে অনবরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে চলেছেন।
অপু বিশ্বাসের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে লেখা হয়, সম্প্রতি অভিনয়শিল্পী অপু বিশ্বাসও এ ধরনের অপরাধের শিকার হন। তার জিডি ও অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুরুষ ও দুজন নারী কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে অপপ্রচার বিষয়ে নিউট্রালাইজ করা হয়েছে এবং অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
সাইবার স্পেসে হেয় করা হলে এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে লেখা হয়, ‘একটি সুস্থ ও রিজিলিয়েন্ট সাইবার স্পেস আমাদের সবার কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি সবাই আইন মানবে ও সাইবার ইথিক্স মেনে নিরাপদ সাইবার ভুবন গড়তে সহায়তা করবে। সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সংস্কৃতিকর্মী বা সাধারণ ভিকটিম সবার জন্য আমাদের সাইবার সেবা উন্মুক্ত থাকবে।’