ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অল্পতেই অল আউট পাকিস্তান, মিরাজের ৫ উইকেট

বৃষ্টিতে ভেসে যায় রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন। তাই তো দিনের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথাযথ প্রমাণ করেন টাইগার বোলাররা।

 

মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে প্রথম দিনে দুই ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এতে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১০ রান তোলে টাইগাররা। সব মিলিয়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

 

 

যদিও নিজেদের ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া মীর হামজার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে তা ধরে রাখতে পারেননি সৌদ শাকিল। অবশ্য এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি সাদমান ও জাকির হাসান। দিন শেষে সাদমান ৬ ও জাকির শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

 

এর আগে শনিবার (৩১ আগস্ট) বেশ কয়েকটি ক্যাচ ছাড়েন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সাকিবের বলে মোহাম্মদ আলী ও আগা সালমান, মিরাজের বলে খুররম শেহজাদ এবং নাহিদ রানার বলে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ছাড়েন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

 

 

রিভিউ না থাকায় তাসকিনের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান মোহাম্মদ আলী। রাওয়ালপিন্ডিতে টানা বৃষ্টিতে ভেসে যায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। দ্বিতীয় দিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় টাইগার বোলাররা।

 

১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে স্বপ্নের মতো শুরু করেন তাসকিন। প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পাকিস্তানের ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক।

 

দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শান মাসুদ। পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটি।

 

মাসুদের মতো অর্ধশতক করে সাজঘরে ফেরেন আইয়ুবও। তাকেও আউট করেন মিরাজ। ডাউন দ্য উইকেটে স্লগ করতে গিয়ে লিটন দাসের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ব্যক্তিগত ১ রানে তাসকিনের বলে স্লিপে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলে দেন মিরাজ।

 

 

তবে সেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন শাকিল। এরপর অভিজ্ঞ বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন সাকিব। দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এতে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।

 

মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দ্রুত তুলে নেন নাহিদ রানা। এরপর টেল এন্ডের ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই করেন সালমান আগা। তাসকিনের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। লিটন দাস আবরার আহমেদকে স্ট্যাম্পিং করলে, মিরাজের ঝুলিতে যোগ হয় পঞ্চম উইকেট। এ নিয়ে ইনিংসে ৮ বার ৫ উইকেট শিকার করলেন ডানহাতি এ অলরাউন্ডার।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

অল্পতেই অল আউট পাকিস্তান, মিরাজের ৫ উইকেট

প্রকাশিত : ০৭:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

বৃষ্টিতে ভেসে যায় রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন। তাই তো দিনের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথাযথ প্রমাণ করেন টাইগার বোলাররা।

 

মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে প্রথম দিনে দুই ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এতে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১০ রান তোলে টাইগাররা। সব মিলিয়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

 

 

যদিও নিজেদের ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া মীর হামজার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে তা ধরে রাখতে পারেননি সৌদ শাকিল। অবশ্য এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি সাদমান ও জাকির হাসান। দিন শেষে সাদমান ৬ ও জাকির শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

 

এর আগে শনিবার (৩১ আগস্ট) বেশ কয়েকটি ক্যাচ ছাড়েন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সাকিবের বলে মোহাম্মদ আলী ও আগা সালমান, মিরাজের বলে খুররম শেহজাদ এবং নাহিদ রানার বলে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ছাড়েন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

 

 

রিভিউ না থাকায় তাসকিনের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান মোহাম্মদ আলী। রাওয়ালপিন্ডিতে টানা বৃষ্টিতে ভেসে যায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। দ্বিতীয় দিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় টাইগার বোলাররা।

 

১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে স্বপ্নের মতো শুরু করেন তাসকিন। প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পাকিস্তানের ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক।

 

দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শান মাসুদ। পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটি।

 

মাসুদের মতো অর্ধশতক করে সাজঘরে ফেরেন আইয়ুবও। তাকেও আউট করেন মিরাজ। ডাউন দ্য উইকেটে স্লগ করতে গিয়ে লিটন দাসের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ব্যক্তিগত ১ রানে তাসকিনের বলে স্লিপে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলে দেন মিরাজ।

 

 

তবে সেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন শাকিল। এরপর অভিজ্ঞ বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন সাকিব। দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এতে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।

 

মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দ্রুত তুলে নেন নাহিদ রানা। এরপর টেল এন্ডের ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই করেন সালমান আগা। তাসকিনের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। লিটন দাস আবরার আহমেদকে স্ট্যাম্পিং করলে, মিরাজের ঝুলিতে যোগ হয় পঞ্চম উইকেট। এ নিয়ে ইনিংসে ৮ বার ৫ উইকেট শিকার করলেন ডানহাতি এ অলরাউন্ডার।