ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

আলোচিত সেই ‘ছাগল’ এখন সাভারে

এবারের ঈদুল আজহায় ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো একটি ছাগল নিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। সাদেক এগ্রোর এই ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক।

এরপরই জানা যায়, তার বাবা মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা। মিডিয়ার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউরের একের পর এক দুর্নীতির কাহিনী। ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর রহমান হারান এনবিআরের পদ। ইতোমধ্যে তার সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যে ছাগল নিয়ে এত ঘটনা, সেটির খোঁজ মিলেছে সাভারে সাদেক এগ্রোর খামারে। সেখানে মিলেছে নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের গরুর একাধিক বাছুরের সন্ধানও। সোমবার (১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় অবস্থিত সাদেক এগ্রো ফার্মে দুদকের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে আচ্ছাদিত একটি ঘরের ভেতরে ছাগলটির সন্ধান পাওয়া যায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আযাদ জানান, এখানে আসার পর একটি শেডে তিনটি বাহ্রামা জাতের গাভী ও সাতটি ব্রাহামা বাছুরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে ঘিরে রাখা একটি ছোট কক্ষে ১৫ লাখ টাকা দামের আলোচিত সেই ছাগলটিরও দেখা মেলে। এখানে কিছু নথির খাতা পাওয়া গেছে। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেহেতু, ব্রাহামা জাতের গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ, সেহেতু এই গরুগুলোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

ফার্মের দায়িত্ব থাকা ব্যবস্থাপক জাহিদ খান বলেন, আমি দেড় মাস হলো এখানকার দায়িত্ব নিয়েছি। এখানে মূলত গবাদি পশুর দুধ উৎপাদন করা হতো। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কেজি দুধ এখান থেকে ঢাকায় সরবরাহ করা হয়।

বর্তমানে এই খামারে গাভী ও বাছুর মিলিয়ে প্রায় আড়াই শ গরু রয়েছে। ১২টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ কয়েক শ হাস-মুরগি রয়েছে। আমিসহ প্রায় ৩৫ জন কর্মী এখানে কর্মরত আছি। আজ সকাল থেকে এখানে সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে, কোনও নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সাদেক এগ্রোতে অভিযান চালায় প্রশাসন। সেসময় অনেক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ছাগলটি এখানে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

আলোচিত সেই ‘ছাগল’ এখন সাভারে

প্রকাশিত : ১২:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

এবারের ঈদুল আজহায় ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো একটি ছাগল নিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। সাদেক এগ্রোর এই ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক।

এরপরই জানা যায়, তার বাবা মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা। মিডিয়ার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউরের একের পর এক দুর্নীতির কাহিনী। ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর রহমান হারান এনবিআরের পদ। ইতোমধ্যে তার সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যে ছাগল নিয়ে এত ঘটনা, সেটির খোঁজ মিলেছে সাভারে সাদেক এগ্রোর খামারে। সেখানে মিলেছে নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের গরুর একাধিক বাছুরের সন্ধানও। সোমবার (১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় অবস্থিত সাদেক এগ্রো ফার্মে দুদকের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে আচ্ছাদিত একটি ঘরের ভেতরে ছাগলটির সন্ধান পাওয়া যায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আযাদ জানান, এখানে আসার পর একটি শেডে তিনটি বাহ্রামা জাতের গাভী ও সাতটি ব্রাহামা বাছুরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে ঘিরে রাখা একটি ছোট কক্ষে ১৫ লাখ টাকা দামের আলোচিত সেই ছাগলটিরও দেখা মেলে। এখানে কিছু নথির খাতা পাওয়া গেছে। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেহেতু, ব্রাহামা জাতের গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ, সেহেতু এই গরুগুলোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

ফার্মের দায়িত্ব থাকা ব্যবস্থাপক জাহিদ খান বলেন, আমি দেড় মাস হলো এখানকার দায়িত্ব নিয়েছি। এখানে মূলত গবাদি পশুর দুধ উৎপাদন করা হতো। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কেজি দুধ এখান থেকে ঢাকায় সরবরাহ করা হয়।

বর্তমানে এই খামারে গাভী ও বাছুর মিলিয়ে প্রায় আড়াই শ গরু রয়েছে। ১২টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ কয়েক শ হাস-মুরগি রয়েছে। আমিসহ প্রায় ৩৫ জন কর্মী এখানে কর্মরত আছি। আজ সকাল থেকে এখানে সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে, কোনও নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সাদেক এগ্রোতে অভিযান চালায় প্রশাসন। সেসময় অনেক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ছাগলটি এখানে পাঠানো হয়েছে।