ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি ইরানের

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাশালী দেশ ইরান যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যেকোনো সময় শত্রুপক্ষকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র তার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইরান ইসরায়েলকে মোকাবিলায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। একই সাথে ইরানের নেতারা সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তা এড়াতেও চেষ্টা করছে। এ জন্য বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ নেতার আদেশ ছাড়া কোনো উত্তেজনামূলক কাজ না করতে দিয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। প্রতিবেদনটিতে চারজন ইরানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।

 

যারা বলেছেন, সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রত্যাশিত ইসরায়েলি প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে অসংখ্য পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ হচ্ছে, সতর্ক থাকতে হবে। ইরানে যদি উল্লেখযোগ্য ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটে তবে ইরান পাল্টা আক্রমণ করবে।

 

 

নয়তো এখনই কোনো সংঘাতে জড়াবে না তারা। তবে ইসরায়েল যদি সীমিত সংখ্যক সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রের ডিপোকে লক্ষ্য করে হামলা করে এবং তাতে তেমন হতাহত না হয় তবে যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়টি ইরান ভেবে দেখবে।

 

গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে। এতে ইহুদিবাদী দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর থেকে পাল্টা হামলার আশঙ্কায় দিন পার করছে ইরান। সে সঙ্গে সমানতালে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। বলছে, যা হওয়ার হয়েছে।

 

 

তারা আর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে না। ইসরায়েল যেন উত্তেজনা না বাড়ায়। কিন্তু ইসরায়েল পাল্টা আঘাত হানলে চুপ থাকবে না খামেনির বাহিনী। তাই ভয়ংকর জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র।

 

তথ্য দেওয়া চারজন কর্মকর্তার মধ্যে দুজন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের অন্তর্গত। তারা বলেছেন, ইসরায়েল যদি তেল সাইট, পারমাণবিক স্থাপনা বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে তবে এবার এক হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হবে। অথবা বিকল্প হিসেবে ইরান আঞ্চলিক তেল সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির কথাও ভাবছে।

 

 

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি ইরানের

প্রকাশিত : ১২:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাশালী দেশ ইরান যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যেকোনো সময় শত্রুপক্ষকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র তার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইরান ইসরায়েলকে মোকাবিলায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। একই সাথে ইরানের নেতারা সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তা এড়াতেও চেষ্টা করছে। এ জন্য বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ নেতার আদেশ ছাড়া কোনো উত্তেজনামূলক কাজ না করতে দিয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। প্রতিবেদনটিতে চারজন ইরানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।

 

যারা বলেছেন, সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রত্যাশিত ইসরায়েলি প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে অসংখ্য পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ হচ্ছে, সতর্ক থাকতে হবে। ইরানে যদি উল্লেখযোগ্য ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটে তবে ইরান পাল্টা আক্রমণ করবে।

 

 

নয়তো এখনই কোনো সংঘাতে জড়াবে না তারা। তবে ইসরায়েল যদি সীমিত সংখ্যক সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রের ডিপোকে লক্ষ্য করে হামলা করে এবং তাতে তেমন হতাহত না হয় তবে যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়টি ইরান ভেবে দেখবে।

 

গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে। এতে ইহুদিবাদী দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর থেকে পাল্টা হামলার আশঙ্কায় দিন পার করছে ইরান। সে সঙ্গে সমানতালে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। বলছে, যা হওয়ার হয়েছে।

 

 

তারা আর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে না। ইসরায়েল যেন উত্তেজনা না বাড়ায়। কিন্তু ইসরায়েল পাল্টা আঘাত হানলে চুপ থাকবে না খামেনির বাহিনী। তাই ভয়ংকর জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র।

 

তথ্য দেওয়া চারজন কর্মকর্তার মধ্যে দুজন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের অন্তর্গত। তারা বলেছেন, ইসরায়েল যদি তেল সাইট, পারমাণবিক স্থাপনা বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে তবে এবার এক হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হবে। অথবা বিকল্প হিসেবে ইরান আঞ্চলিক তেল সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির কথাও ভাবছে।