ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
২০২২ ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট বিভাগ

এবারও সিলেটে বড় বন্যার আশঙ্কা!

Oplus_131072

প্রচণ্ড তাপ প্রবাহে যখন পুড়ছে রাজধানীসহ দেশের উত্তরাঞ্চল। এখনো বৃষ্টিহীন অনেক জেলা। গ্রীষ্মকালের এই সময়ে সিলেটে প্রতিদিন হচ্ছে বৃষ্টিপাত। এরইমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি।

তাই বর্ষায় এবছর বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর আগে ২০২২ ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট বিভাগের মানুষ।

সেই সময় বন্যায় সিলেট বিভাগের ৭২ শতাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। বিভাগজুড়ে ৮২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। কেবল সিলেট জেলাতেই মারা যান ৫১ জনের। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও গবাদিপশুর।

সিলেট পানি উন্নয়ন রোর্ড সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমীর হোসাইন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি ২/৩ বছর পর পর বড় বন্যার আশঙ্কা করা হয়। সে হিসাবে এ বছর বর্ষায় বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যমতে, গ্রীষ্মকালে সিলেটে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। আর বর্ষা মৌসুমে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৭৫ মিটার। অথচ এই মৌসুমে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে পৌঁছায় পানির স্তর। যেটি এই মৌসুমে সহসাই হওয়ার কথা না। তবে শনিবার (৪ মে) পানির স্তর ১০ দশমিক ৩ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর পানিও উজানের ঢলে বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটি অঞ্চলে পানি বাড়ছে।

তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে সিলেটে বৃষ্টির কারণে আগাম বন্যা হয় না। মূলত; বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হলে আগাম বন্যা হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভারতে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির ফলে সিলেটের প্রধান দুই নদীর পানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি নদী লোভাছড়া, সারি নদীর পানি বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারই (২ মে) দুটি পয়েন্টে নদীর পানি শুষ্ক মৌসুমের বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

সারি নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্ট শুষ্ক মৌসুমে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৭০ মিটার। বর্ষা মৌসুমে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ মিটার। নদীর ওই পয়েন্ট পানি ১১ দশমিক ৮৭ মিটারে অবস্থান করছিল, যা শুষ্ক মৌসুমের বিপৎসীমার ওপরে। এছাড়া সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

এদিকে কয়েকদিনের বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বেড়েছে উপজেলার নদ-নদীর পানি। তবে ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগাম বন্যা দেখা দিতে পারে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

২০২২ ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট বিভাগ

এবারও সিলেটে বড় বন্যার আশঙ্কা!

প্রকাশিত : ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

প্রচণ্ড তাপ প্রবাহে যখন পুড়ছে রাজধানীসহ দেশের উত্তরাঞ্চল। এখনো বৃষ্টিহীন অনেক জেলা। গ্রীষ্মকালের এই সময়ে সিলেটে প্রতিদিন হচ্ছে বৃষ্টিপাত। এরইমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি।

তাই বর্ষায় এবছর বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর আগে ২০২২ ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট বিভাগের মানুষ।

সেই সময় বন্যায় সিলেট বিভাগের ৭২ শতাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। বিভাগজুড়ে ৮২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। কেবল সিলেট জেলাতেই মারা যান ৫১ জনের। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও গবাদিপশুর।

সিলেট পানি উন্নয়ন রোর্ড সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমীর হোসাইন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি ২/৩ বছর পর পর বড় বন্যার আশঙ্কা করা হয়। সে হিসাবে এ বছর বর্ষায় বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যমতে, গ্রীষ্মকালে সিলেটে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। আর বর্ষা মৌসুমে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৭৫ মিটার। অথচ এই মৌসুমে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে পৌঁছায় পানির স্তর। যেটি এই মৌসুমে সহসাই হওয়ার কথা না। তবে শনিবার (৪ মে) পানির স্তর ১০ দশমিক ৩ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর পানিও উজানের ঢলে বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটি অঞ্চলে পানি বাড়ছে।

তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে সিলেটে বৃষ্টির কারণে আগাম বন্যা হয় না। মূলত; বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হলে আগাম বন্যা হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভারতে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির ফলে সিলেটের প্রধান দুই নদীর পানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি নদী লোভাছড়া, সারি নদীর পানি বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারই (২ মে) দুটি পয়েন্টে নদীর পানি শুষ্ক মৌসুমের বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

সারি নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্ট শুষ্ক মৌসুমে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৭০ মিটার। বর্ষা মৌসুমে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ মিটার। নদীর ওই পয়েন্ট পানি ১১ দশমিক ৮৭ মিটারে অবস্থান করছিল, যা শুষ্ক মৌসুমের বিপৎসীমার ওপরে। এছাড়া সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

এদিকে কয়েকদিনের বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বেড়েছে উপজেলার নদ-নদীর পানি। তবে ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগাম বন্যা দেখা দিতে পারে।