ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

কমলার সঙ্গে আর বিতর্কে করবেন না ট্রাম্প

নির্বাচনের আগে আর কমলা হ্যারিসের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

ট্রাম্প লিখেন, তৃতীয় আর কোনো বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে না। তার এ বক্তব্যে প্রথম বিতর্ক বলতে গত জুনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিতর্ককে বোঝানো হয়েছে। আর দ্বিতীয় বিতর্ক গত মঙ্গলবার কমলা হ্যারিসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এবিসি নিউজ আয়োজিত এ বিতর্ক ছয় কোটি ৭০ লাখ মানুষ দেখেছেন। বিতর্কের পর কমলার প্রচার শিবির জানিয়েছে, তিনি আবার আগামী অক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে আবার বিতর্কের মঞ্চে মুখোমুখি হতে চান। এছাড়া ট্রাম্পও বিতর্কের জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন।

 

 

গত মঙ্গলবার বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেন কমলা। দুজনের করমর্দন শেষে কমলার বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এদিন উভয় নেতা গাজা যুদ্ধ, অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন নীতি ও গর্ভপাতসহ নানা বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তবে কমলার সামনে পাত্তাই পাননি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শেষমেশ একপর্যায়ে কমলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

 

বিতর্কের প্রথম প্রশ্নই ছিল অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে। এই ইস্যুতে কমলা বলেন, তিনি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাই, তিনি তাদের কষ্ট বোঝেন। এ জন্য মধ্যবিত্তদের জন্য কর কর্তনের পরিকল্পনার কথা জানান কমলা। আর ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে ধনীদের কর কর্তন করা হবে বলে উল্লেখ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটির ইতিহাসের সেরা অর্থনীতি বানিয়েছিলেন। আর মূল্যস্ফীতির জন্য বাইডেন প্রশাসনকেই দায়ী করেন তিনি।

 

 

ক্ষমতায় যেতে দুই নেতাই ইসরায়েলকে তোষণ করেছে। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, কমলা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তিনি আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধ হতোই না। এই যুদ্ধের সমাপ্তি হওয়া উচিত উল্লেখ করে কমলা বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে এটি কীভাবে করছে তা গুরুত্বপূর্ণ।

 

বিতর্কে বাইডেনকে অস্তিত্বহীন প্রেসিডেন্ট বলে কমলার তোপের মুখে পড়েন ট্রাম্প। ওই মন্তব্যের জের ধরে কমলা বলেন, নির্বাচনে আপনি বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়ছেন না, আপনি লড়ছেন আমার বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত প্রসঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেন, আপনি এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই- এতে আমাদের ন্যাটো মিত্ররা খুবই কৃতজ্ঞ। পুতিন ট্রাম্পকে সহজেই কবজা করে ফেলতেন বলেও উল্লেখ করেন কমলা।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

কমলার সঙ্গে আর বিতর্কে করবেন না ট্রাম্প

প্রকাশিত : ১২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নির্বাচনের আগে আর কমলা হ্যারিসের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

ট্রাম্প লিখেন, তৃতীয় আর কোনো বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে না। তার এ বক্তব্যে প্রথম বিতর্ক বলতে গত জুনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিতর্ককে বোঝানো হয়েছে। আর দ্বিতীয় বিতর্ক গত মঙ্গলবার কমলা হ্যারিসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এবিসি নিউজ আয়োজিত এ বিতর্ক ছয় কোটি ৭০ লাখ মানুষ দেখেছেন। বিতর্কের পর কমলার প্রচার শিবির জানিয়েছে, তিনি আবার আগামী অক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে আবার বিতর্কের মঞ্চে মুখোমুখি হতে চান। এছাড়া ট্রাম্পও বিতর্কের জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন।

 

 

গত মঙ্গলবার বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেন কমলা। দুজনের করমর্দন শেষে কমলার বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এদিন উভয় নেতা গাজা যুদ্ধ, অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন নীতি ও গর্ভপাতসহ নানা বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তবে কমলার সামনে পাত্তাই পাননি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শেষমেশ একপর্যায়ে কমলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

 

বিতর্কের প্রথম প্রশ্নই ছিল অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে। এই ইস্যুতে কমলা বলেন, তিনি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাই, তিনি তাদের কষ্ট বোঝেন। এ জন্য মধ্যবিত্তদের জন্য কর কর্তনের পরিকল্পনার কথা জানান কমলা। আর ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে ধনীদের কর কর্তন করা হবে বলে উল্লেখ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটির ইতিহাসের সেরা অর্থনীতি বানিয়েছিলেন। আর মূল্যস্ফীতির জন্য বাইডেন প্রশাসনকেই দায়ী করেন তিনি।

 

 

ক্ষমতায় যেতে দুই নেতাই ইসরায়েলকে তোষণ করেছে। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, কমলা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তিনি আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধ হতোই না। এই যুদ্ধের সমাপ্তি হওয়া উচিত উল্লেখ করে কমলা বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে এটি কীভাবে করছে তা গুরুত্বপূর্ণ।

 

বিতর্কে বাইডেনকে অস্তিত্বহীন প্রেসিডেন্ট বলে কমলার তোপের মুখে পড়েন ট্রাম্প। ওই মন্তব্যের জের ধরে কমলা বলেন, নির্বাচনে আপনি বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়ছেন না, আপনি লড়ছেন আমার বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত প্রসঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেন, আপনি এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই- এতে আমাদের ন্যাটো মিত্ররা খুবই কৃতজ্ঞ। পুতিন ট্রাম্পকে সহজেই কবজা করে ফেলতেন বলেও উল্লেখ করেন কমলা।