ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

কোটা বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

 

সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বেলা ১২টা থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উথাপন করেন। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

 

 

দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ১৮’এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

 

বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নূর বলেন, স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে যেমন নুর রাস্তায় নেমে পিঠে লিখেছিল স্বৈরাচার নিপাত যাক, ঠিক তেমনি বৈষম্য দূর করে কোটা নিপাত করা হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করার জন্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিল। আবার সেই বৈষম্য শুরু হয়ে গেছে। কোটা বহাল রেখে দেশে মেধাবী শূন্য করা হচ্ছে। এটা অবিলম্বে বাতিল চান তারা।’

 

 

আন্দোলনকারী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, ‘কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করেছেন আমরা জানি না। আমি নিজে মেয়ে হয়েও বলছি,আমাদের মেয়েদের জন্য আলাদা কোটার প্রয়োজন নেই। নারী-পুরুষ আমরা সবাই সমান। কোটা বাতিল হোক এটাই আমাদের চাওয়া।’

 

 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম,সিরাজুল ইসলাম,লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. মিরাজ হোসেন, নাইমুর রহমান ও ইংরেজি বিভাগের তামিম প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

কোটা বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত : ১১:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

 

সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বেলা ১২টা থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উথাপন করেন। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

 

 

দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ১৮’এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

 

বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নূর বলেন, স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে যেমন নুর রাস্তায় নেমে পিঠে লিখেছিল স্বৈরাচার নিপাত যাক, ঠিক তেমনি বৈষম্য দূর করে কোটা নিপাত করা হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করার জন্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিল। আবার সেই বৈষম্য শুরু হয়ে গেছে। কোটা বহাল রেখে দেশে মেধাবী শূন্য করা হচ্ছে। এটা অবিলম্বে বাতিল চান তারা।’

 

 

আন্দোলনকারী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, ‘কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করেছেন আমরা জানি না। আমি নিজে মেয়ে হয়েও বলছি,আমাদের মেয়েদের জন্য আলাদা কোটার প্রয়োজন নেই। নারী-পুরুষ আমরা সবাই সমান। কোটা বাতিল হোক এটাই আমাদের চাওয়া।’

 

 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম,সিরাজুল ইসলাম,লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. মিরাজ হোসেন, নাইমুর রহমান ও ইংরেজি বিভাগের তামিম প্রমুখ।