ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন শিক্ষিকা। কেবল তাই নয়, এভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে।
বুধবার (৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছেন তিনি। এরপর জামিনে ছাড়া পেয়ে আরেক ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গর্ভবর্তী হন তিনি।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম রেবেকা জোয়েন্স। তিনি যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ১৫ বছর বয়সী ওই ছাত্রকে ৩৪৫ পাউন্ডের বেল্ট উপহার দিয়ে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগের বিচার চলছে। ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে এ বিচারকার্য প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত চলাকালে ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়। যদিও স্কুল বা ছাত্রদের কারও নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই শিক্ষিকা ১৫ বছর বয়সী ছাত্রের এক বন্ধুকে ছবি পাঠান। তার পাঠানো ছবির মধ্যে গোপনে তোলা ছবিও ছিল। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার প্রসিকিউটর জো অ্যালম্যান জানান, ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আনা হয়েছিল। এরপর বিচারকাজ শুরু করা হয়। তখনই ওই শিক্ষিকার অপর এক ছাত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন যৌন সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে।
বিবিসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে তিনি গর্ভবতী হন। তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েও ওই ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছিলেন। ওই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর।
ওই ছাত্র শিক্ষিকার ফ্ল্যাটে যায় এবং তারা ঘনিষ্ট হয়। এরপর ছাত্রের বয়স ১৬ বছর হলে পরস্পর পূর্ণ যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে করে ওই শিক্ষিকা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। প্রসিকিউটর শিক্ষিকার এ আচরণকে নির্লজ্জ বলে উল্লেখ করেছেন।
আদালত জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকা গর্ভবতী হতে সক্ষম নন বলে তার দ্বিতীয় ছাত্রকে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহব্যাপী বিচার চলবে।