ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক সংঘবদ্ধভাবে নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার পরিষদ।
শনিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা না হলে ইমার্জেন্সি অপারেশন/চিকিৎসা ছাড়া সকল প্রকার অপারেশন এবং সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের ওপর হামলার খবরে ফেসবুক লাইভে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি জানান, কিছুক্ষণ আগে ঢামেক হাসপাতালে অপ্রত্যাশিত ঘটনা হয়েছে। রোগী মারা যাওয়ায় সংক্ষুব্ধ একটি পক্ষ এই হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে বলেন, চিকিৎসকদের তাদের মতো করে কাজ করতে দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন।
হাসনাত বলেন, একটি বিষয়ে আমি আপনাদের স্পষ্ট করতে চাই, আমাদের গণঅভ্যুত্থান যে মূল স্পিরিট ছিল, আমাদের গণঅভ্যুত্থানের যে জায়গাটি ছিল, সেই জায়গাটি ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে। একটি সিস্টেম ডেভেলপ করবে এবং এই সিস্টেমের মধ্য থেকে আমাদের সমাজ, আমাদের রাষ্ট্র, তথা আমাদের দেশ পরিচালিত হবে। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ধরনের কাজগুলো করা হচ্ছে, আজকে ডাক্তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হলো।
তিনি আরও বলেন, আপনি যদি ফোর্স করেন যে আমার রোগীকে বাঁচিয়ে দিতে হবে, এখনই বাঁচিয়ে দিতে হবে, বাঁচিয়ে দিতেই হবে—এটা তো প্রফেশনালিজমের মধ্যে পড়ে না।
‘ডাক্তারদের ডাক্তারদের মতো করে কাজ করতে দেওয়া উচিত’ উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, আমি ঢাকা মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেলের বাইরের সব ডাক্তারদের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে লজ্জিত। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, তারা যেন এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেন। আমি নিশ্চিত করতে চাই, ডাক্তাররা তাদের পেশাদারত্বের জায়গায় তাদের নিজেদের মতো করে তাদের যে প্রফেশনালিজম, সেটি প্র্যাকটিস করতে পারবে।