ঢাকা , শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত বেইজিং

বাংলাদেশ সরকার চাইলে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত আছে বেইজিং। চীন মনে করে, ওই অঞ্চলের মানুষের মঙ্গলের জন্য তিস্তা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।

 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চীনা দূতাবাসে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

 

তিস্তা প্রকল্পের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি একটি বিশাল প্রকল্প। এই নদীর তীরে বসবাসকারী হাজারো মানুষের কল্যাণের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত।’

 

তিনি বলেন, তবে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে এটি বাংলাদেশ নিজে করতে পারে অথবা চীনের সহায়তা নিয়ে করতে পারে। কিন্তু একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশের।‘

 

 

আগেও প্রস্তাব পাঠানো নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রথমে ২০২১ সালে আমাদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পরে সেটি মূল্যায়ন করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রতিবেদন পাঠাই। আমরা প্রস্তাবনাটি সংশোধন করে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু এর আর কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।’

 

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি এবং আমরা তিস্তা নদী প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে প্রস্তুত।’

 

তিস্তা নদী নিয়ে বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়, কিন্তু তিস্তা পারের মানুষদের দুঃখ-দুর্দশার কথা আমরা সবাই জানি।

 

গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ কোটি ডলার।

 

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০টি কোম্পানি চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প জোনে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারা ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহী। চীন আশা করে, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত চীনা শিল্প পার্ক করার অনুমোদন দেবে।

 

গত জানুয়ারিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের চীন সফরের সময়ে কুনমিং অঞ্চলে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতাল বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত হয়।

 

উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অনুবাদ করার জন্য অনুবাদক তৈরি করা এবং চিকিৎসার অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী মার্চ থেকে বাংলাদেশের প্রথম রোগীর টিম চীনে চিকিৎসা পাবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত বেইজিং

প্রকাশিত : ১১:৩২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ সরকার চাইলে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত আছে বেইজিং। চীন মনে করে, ওই অঞ্চলের মানুষের মঙ্গলের জন্য তিস্তা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।

 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চীনা দূতাবাসে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

 

তিস্তা প্রকল্পের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি একটি বিশাল প্রকল্প। এই নদীর তীরে বসবাসকারী হাজারো মানুষের কল্যাণের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত।’

 

তিনি বলেন, তবে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে এটি বাংলাদেশ নিজে করতে পারে অথবা চীনের সহায়তা নিয়ে করতে পারে। কিন্তু একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশের।‘

 

 

আগেও প্রস্তাব পাঠানো নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রথমে ২০২১ সালে আমাদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পরে সেটি মূল্যায়ন করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রতিবেদন পাঠাই। আমরা প্রস্তাবনাটি সংশোধন করে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু এর আর কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।’

 

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি এবং আমরা তিস্তা নদী প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে প্রস্তুত।’

 

তিস্তা নদী নিয়ে বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়, কিন্তু তিস্তা পারের মানুষদের দুঃখ-দুর্দশার কথা আমরা সবাই জানি।

 

গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ কোটি ডলার।

 

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০টি কোম্পানি চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প জোনে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারা ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহী। চীন আশা করে, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত চীনা শিল্প পার্ক করার অনুমোদন দেবে।

 

গত জানুয়ারিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের চীন সফরের সময়ে কুনমিং অঞ্চলে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতাল বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত হয়।

 

উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অনুবাদ করার জন্য অনুবাদক তৈরি করা এবং চিকিৎসার অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী মার্চ থেকে বাংলাদেশের প্রথম রোগীর টিম চীনে চিকিৎসা পাবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।