ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৮৭

দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে। যাদের মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ফ্লাইটটি।

 

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এ পর্যন্ত দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ৮৭ জন নিহত হয়েছে।’

 

 

প্রাথমিকভাবে দুজনকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপও। বর্তমানে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। হতাহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

এদিকে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই দুজনকে জীবিত পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

 

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় ‘পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, টুইন-ইঞ্জিন এই প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠেতে দেখা যায়।

 

ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে “বেলি ল্যান্ডিং” (বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করে) অবতরণ করার চেষ্টা করেছে।

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৮৭

প্রকাশিত : ১১:৫৯:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে। যাদের মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ফ্লাইটটি।

 

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এ পর্যন্ত দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ৮৭ জন নিহত হয়েছে।’

 

 

প্রাথমিকভাবে দুজনকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপও। বর্তমানে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। হতাহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

এদিকে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই দুজনকে জীবিত পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

 

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় ‘পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, টুইন-ইঞ্জিন এই প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠেতে দেখা যায়।

 

ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে “বেলি ল্যান্ডিং” (বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করে) অবতরণ করার চেষ্টা করেছে।