পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে উমা রানী ঘোষ (৩২) ও তার ছেলে প্রশান্ত দাসকে (১৬) হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর উপজেলার কৌড়িখাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহত মা-ছেলেকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। তাদের মধ্য উমা রানীর অবস্থা গুরুতর। এখন হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লিমা আক্তার বলেন, আহত উমার অবস্থা বেশ গুরুতর। তিনি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন।
উমা রানীর ভাই সত্যজিৎ ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী ইমরান, হালিম, লোকমান ও আরিফ গংদের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। তারা আমাদের ৫০ বছরের ভোগদখলীয় একটি জমি দখল নেওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরে পাঁয়তারা চালাচ্ছিল। বিগত দিনে সে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের প্রভাব দেখিয়ে আমাদের অনেক হয়রানি করেছে তারা।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর ইমরান আমাদের জমিতে বেড়া দিয়ে বালু ফেলার চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার বোন (উমা) বাধা দিতে গেলে তারা তাকে বেধড়ক মারধর করে পুকুরে ফেলে পানিতে চুবিয়ে ধরে।
তিনি চিৎকার দিলে ইমরান হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এ সময় তার ছেলে এগিয়ে এসে মাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করে। পরে আমার ভাইয়ের স্ত্রী এগিয়ে এলে তাকেও সবাই মিলে বেধড়ক মারধর করে।
এ বিষয়ে উমা রানীর ছেলে প্রশান্ত ঘোষ বলেন, তারা আমাদের জমিতে দখলে আসে। এ সময় কেউ বাড়িতে ছিল না। তাদের বাধা দিতে গেলে তারা আমার মাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পুনরায় পুকুরে ফেলে পানিতে চুবিয়ে ধরে। আমি মাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও অনেক মেরেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইমরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০ বছর ধরে ওই জায়গা আমাদের দখলে ছিল। শনিবার সন্ধ্যার পর আমরা আমাদের জায়গায় বালু ফেলার জন্য বেড়া দিচ্ছিলাম। এ সময় উমা রানী ও তার ছেলে এসে আমাদের ওপর চড়াও হয়। তখন আমার হাতে থাকা হাতুড়ি দ্বারা হয়তো উমা রানীর মাথায় লাগতে পারে।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।