ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ‍সুখবর দিল ভারত

পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপরে থাকা কঠোর শর্ত শিথিল করেছে ভারত সরকার।

 

এখন থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে দেশটি।

 

 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে যা দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যটির ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের শর্ত প্রত্যাহার করে শুক্রবার। যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় শুল্ক কমানোর এ নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যে কোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।

 

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশসহ একাধিক দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী থাকেন। কারণ, প্রতিবেশী দেশটি থেকে দ্রুত পণ্য আনা যায়। আর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে বেশি।

 

 

এদিকে পেঁয়াজ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে পেঁয়াজ রপ্তানি বেড়ে যাবে, তাতে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাষিরা ভালো মুনাফা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

গত বছর অল্প বৃষ্টি হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ঘাটতির আশঙ্কায় পেঁয়াজের রপ্তানি ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। এরপর মার্চে কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক অনুরোধে কিছু চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য দেখা দেয়, কিন্তু রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভালো দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন পেঁয়াজ চাষিরা।

 

তখনো রাজনৈতিক কারণে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ মে পণ্যটির রপ্তানি ক্যাটাগরি ‘নিষিদ্ধ’র পরিবর্তে ‘ফ্রি’ করা হয়। সেই সঙ্গে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক এবং প্রতি টনের ন্যূনতম মূল্য ৫৫০ ডলার ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল।

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ‍সুখবর দিল ভারত

প্রকাশিত : ১১:৪৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপরে থাকা কঠোর শর্ত শিথিল করেছে ভারত সরকার।

 

এখন থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে দেশটি।

 

 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে যা দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যটির ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের শর্ত প্রত্যাহার করে শুক্রবার। যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় শুল্ক কমানোর এ নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যে কোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।

 

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশসহ একাধিক দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী থাকেন। কারণ, প্রতিবেশী দেশটি থেকে দ্রুত পণ্য আনা যায়। আর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে বেশি।

 

 

এদিকে পেঁয়াজ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে পেঁয়াজ রপ্তানি বেড়ে যাবে, তাতে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাষিরা ভালো মুনাফা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

গত বছর অল্প বৃষ্টি হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ঘাটতির আশঙ্কায় পেঁয়াজের রপ্তানি ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। এরপর মার্চে কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক অনুরোধে কিছু চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য দেখা দেয়, কিন্তু রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভালো দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন পেঁয়াজ চাষিরা।

 

তখনো রাজনৈতিক কারণে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ মে পণ্যটির রপ্তানি ক্যাটাগরি ‘নিষিদ্ধ’র পরিবর্তে ‘ফ্রি’ করা হয়। সেই সঙ্গে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক এবং প্রতি টনের ন্যূনতম মূল্য ৫৫০ ডলার ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল।