ঢাকা , রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

বর্ষসেরা ইনিংসে মনোনয়ন পেল লিটনের সেই সেঞ্চুরি

টেস্ট ক্রিকেটে অনেক সময় একটি ইনিংসই পারে ইতিহাস বদলে দিতে। ২০২৪ সালের এ ধরনের একটি ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটার লিটন দাস। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সবুজ ঘাসে ঢাকা পিচে, যেখানে বলের গতি ও সুইং ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্ন, সেখানেই এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেললেন লিটন।

দলের স্কোর ছিল ২৬ রানে ৬ উইকেট, ম্যাচ তখন প্রায় পাকিস্তানের মুঠোয়। এমন সময় লিটনের ১৩৮ রানের ইনিংস হয়ে ওঠে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মেহেদী হাসানের সঙ্গে লিটনের পার্টনারশিপ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। উইকেটের পেছনে দীর্ঘ সময় কিপিং করার ক্লান্তি এবং হাতের চোট উপেক্ষা করে লিটন এমন একটি ইনিংস উপহার দেন, যা শুধু ম্যাচ বাঁচানোর নয়, জয়ের পথ দেখানোর দৃষ্টান্ত।

পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ছোট টার্গেট তাড়া করে নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। লিটনের এই ইনিংস শুধু পরিসংখ্যানের আলোয় উজ্জ্বল নয়, বরং মানসিক দৃঢ়তার এক অনন্য উদাহরণ।

লিটনের সেই মহাকাব্যিক শতকের স্বীকৃতি দিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো। তাদের শেষ হওয়া বছরের সেরা ইনিংসের তালিকায় মনোয়ন পেয়েছে লিটনের সেই ইনিংস।

ক্রিকইনফো অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ : সেরা টেস্ট ব্যাটিং মনোনয়নে লিটন দাস

লিটনের রাওয়ালপিন্ডির ইনিংস তাকে তুলে এনেছে ক্রিকইনফো অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ -এ সেরা টেস্ট ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মনোনয়নে। তার সঙ্গে মনোনয়নে রয়েছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটাররা। যেমন:

অলি পোপ (১৯৬ বনাম ভারত, হায়দরাবাদ): ভারতীয় স্পিন আক্রমণকে দারুণভাবে সামলে ইংল্যান্ডকে এনে দেন ঐতিহাসিক জয়।

যশস্বী জয়সওয়াল (২০৯ বনাম ইংল্যান্ড, বিশাখাপত্তনম): সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে ভারতীয় তরুণের অসাধারণ দ্বিশতক।

হ্যারি ব্রুক (৩১৭ বনাম পাকিস্তান, মুলতান): তরুণ ইংলিশ ব্যাটারের প্রথম ত্রিশতক, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ট্রাভিস হেড (১৪০ বনাম ভারত, অ্যাডিলেড): শুরুতে চাপে থাকলেও অসাধারণ ব্যাটিং দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজে ফিরিয়ে আনেন।

তবে এই সমস্ত ব্যাটিংয়ের মাঝে লিটনের ইনিংস আলাদা করে নজর কাড়ে তার পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা ও মানসিক দৃঢ়তার জন্য। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর এই মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনেকদিন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

বর্ষসেরা ইনিংসে মনোনয়ন পেল লিটনের সেই সেঞ্চুরি

প্রকাশিত : ০৬:১৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

টেস্ট ক্রিকেটে অনেক সময় একটি ইনিংসই পারে ইতিহাস বদলে দিতে। ২০২৪ সালের এ ধরনের একটি ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটার লিটন দাস। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সবুজ ঘাসে ঢাকা পিচে, যেখানে বলের গতি ও সুইং ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্ন, সেখানেই এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেললেন লিটন।

দলের স্কোর ছিল ২৬ রানে ৬ উইকেট, ম্যাচ তখন প্রায় পাকিস্তানের মুঠোয়। এমন সময় লিটনের ১৩৮ রানের ইনিংস হয়ে ওঠে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মেহেদী হাসানের সঙ্গে লিটনের পার্টনারশিপ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। উইকেটের পেছনে দীর্ঘ সময় কিপিং করার ক্লান্তি এবং হাতের চোট উপেক্ষা করে লিটন এমন একটি ইনিংস উপহার দেন, যা শুধু ম্যাচ বাঁচানোর নয়, জয়ের পথ দেখানোর দৃষ্টান্ত।

পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ছোট টার্গেট তাড়া করে নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। লিটনের এই ইনিংস শুধু পরিসংখ্যানের আলোয় উজ্জ্বল নয়, বরং মানসিক দৃঢ়তার এক অনন্য উদাহরণ।

লিটনের সেই মহাকাব্যিক শতকের স্বীকৃতি দিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো। তাদের শেষ হওয়া বছরের সেরা ইনিংসের তালিকায় মনোয়ন পেয়েছে লিটনের সেই ইনিংস।

ক্রিকইনফো অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ : সেরা টেস্ট ব্যাটিং মনোনয়নে লিটন দাস

লিটনের রাওয়ালপিন্ডির ইনিংস তাকে তুলে এনেছে ক্রিকইনফো অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ -এ সেরা টেস্ট ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মনোনয়নে। তার সঙ্গে মনোনয়নে রয়েছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটাররা। যেমন:

অলি পোপ (১৯৬ বনাম ভারত, হায়দরাবাদ): ভারতীয় স্পিন আক্রমণকে দারুণভাবে সামলে ইংল্যান্ডকে এনে দেন ঐতিহাসিক জয়।

যশস্বী জয়সওয়াল (২০৯ বনাম ইংল্যান্ড, বিশাখাপত্তনম): সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে ভারতীয় তরুণের অসাধারণ দ্বিশতক।

হ্যারি ব্রুক (৩১৭ বনাম পাকিস্তান, মুলতান): তরুণ ইংলিশ ব্যাটারের প্রথম ত্রিশতক, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ট্রাভিস হেড (১৪০ বনাম ভারত, অ্যাডিলেড): শুরুতে চাপে থাকলেও অসাধারণ ব্যাটিং দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজে ফিরিয়ে আনেন।

তবে এই সমস্ত ব্যাটিংয়ের মাঝে লিটনের ইনিংস আলাদা করে নজর কাড়ে তার পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা ও মানসিক দৃঢ়তার জন্য। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর এই মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনেকদিন।