ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের কাছে আবারও অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ভিন্ন অন্য কোন উপায় ছিল না বাংলাদেশের হাতে। তবে সেই জয় আবার আনতে হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের দেওয়া ২২১ রান টপকিয়ে, শুরুতেই কঠিন মনে হওয়া এই টার্গেটের ধারে কাছেও যেতে পারলো না বাংলাদেশ।

 

নাজমুল হোসেন শান্তর দল আরও একবার অসহায় ভাবে আআত্মসমর্পণ করলো ভারতের কাছে ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হলো সিরিজ হার।

 

 

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশেকে ৮৬ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের করা ২২১ রানের টার্গেটে বাংলাদেশ ১৩৫ রান পর্যন্ত যেতে পারে। দলের পক্ষে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন সর্বোচ্চ ৪১ রান।

 

দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় সূর্যকুমার যাদবের দল। ভারতের পক্ষে নিতিশ রেড্ডি সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন। এছাড়া অন্যান্য ব্যাটাররাও সমানভাবে অবদান রাখেন, যা বাংলাদেশি বোলারদের চাপে ফেলে দেয়।

 

 

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ রান তুলে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। তবে তৃতীয় ওভারেই আর্শদীপ সিংয়ের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন তিনি। ১২ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ইমন।

 

দ্রুতই দ্বিতীয় ধাক্কাটি আসে নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে। ওয়াশিংটন সুন্দরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি লং অনে ক্যাচ দেন, ৭ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন শান্ত। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে দলের অন্যতম ভরসা লিটন দাসও ব্যর্থ হন। বরুণ চক্রবর্তীর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ওপেনার, মাত্র ১৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

 

 

এরপর দলের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি হয় যখন তাওহিদ হৃদয়ও ব্যর্থ হন। গত কয়েক মাসের মতো এবারও রানখরায় ভুগতে থাকা হৃদয় অভিষেক শর্মার বলে মাত্র ২ রান করে বোল্ড হন। ফলে, ৫০ রান পূর্ণ হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, যা তাদের বড় লক্ষ্য তাড়া করার সব সম্ভাবনা শেষ করে দেয়।

 

এক প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লড়াই চালিয়ে গেলেও, তার ব্যাটিং যথেষ্ট ছিল না দলকে টেনে তোলার জন্য। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং জাকের আলি অনিকও দলকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। মিরাজ ১৬ রান করে বিদায় নেন, আর অনিকও দলের বিপর্যয়ের মাঝেই দ্রুত বিদায় নেন।

 

দলের বিপর্যয়ে মাহমুদউল্লাহ একাই লড়াই চালিয়ে যান এবং ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। তবে ধীরগতির এই ইনিংস ম্যাচের ফলাফল পাল্টাতে পারেনি, বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৩৫ রানে। ভারত এক ম্যাচ বাকি রেখেই ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে।

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

ভারতের কাছে আবারও অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের

প্রকাশিত : ১২:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ভিন্ন অন্য কোন উপায় ছিল না বাংলাদেশের হাতে। তবে সেই জয় আবার আনতে হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের দেওয়া ২২১ রান টপকিয়ে, শুরুতেই কঠিন মনে হওয়া এই টার্গেটের ধারে কাছেও যেতে পারলো না বাংলাদেশ।

 

নাজমুল হোসেন শান্তর দল আরও একবার অসহায় ভাবে আআত্মসমর্পণ করলো ভারতের কাছে ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হলো সিরিজ হার।

 

 

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশেকে ৮৬ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের করা ২২১ রানের টার্গেটে বাংলাদেশ ১৩৫ রান পর্যন্ত যেতে পারে। দলের পক্ষে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন সর্বোচ্চ ৪১ রান।

 

দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় সূর্যকুমার যাদবের দল। ভারতের পক্ষে নিতিশ রেড্ডি সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন। এছাড়া অন্যান্য ব্যাটাররাও সমানভাবে অবদান রাখেন, যা বাংলাদেশি বোলারদের চাপে ফেলে দেয়।

 

 

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ রান তুলে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। তবে তৃতীয় ওভারেই আর্শদীপ সিংয়ের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন তিনি। ১২ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ইমন।

 

দ্রুতই দ্বিতীয় ধাক্কাটি আসে নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে। ওয়াশিংটন সুন্দরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি লং অনে ক্যাচ দেন, ৭ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন শান্ত। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে দলের অন্যতম ভরসা লিটন দাসও ব্যর্থ হন। বরুণ চক্রবর্তীর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ওপেনার, মাত্র ১৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

 

 

এরপর দলের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি হয় যখন তাওহিদ হৃদয়ও ব্যর্থ হন। গত কয়েক মাসের মতো এবারও রানখরায় ভুগতে থাকা হৃদয় অভিষেক শর্মার বলে মাত্র ২ রান করে বোল্ড হন। ফলে, ৫০ রান পূর্ণ হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, যা তাদের বড় লক্ষ্য তাড়া করার সব সম্ভাবনা শেষ করে দেয়।

 

এক প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লড়াই চালিয়ে গেলেও, তার ব্যাটিং যথেষ্ট ছিল না দলকে টেনে তোলার জন্য। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং জাকের আলি অনিকও দলকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। মিরাজ ১৬ রান করে বিদায় নেন, আর অনিকও দলের বিপর্যয়ের মাঝেই দ্রুত বিদায় নেন।

 

দলের বিপর্যয়ে মাহমুদউল্লাহ একাই লড়াই চালিয়ে যান এবং ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। তবে ধীরগতির এই ইনিংস ম্যাচের ফলাফল পাল্টাতে পারেনি, বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৩৫ রানে। ভারত এক ম্যাচ বাকি রেখেই ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে।