গ্রুপ পর্বের দেখায় ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে ছিল বাংলাদেশ। এ ছাড়া গত ২৮ আগস্ট এই ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ছিল লাল-সবুজরা।
এবার এমন কিছু করার কথা জানিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ কোচ। তবে অপরাজিত থাকা ভারতের রক্ষণে কোনো ভীতি ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশের কিশোররা।
ভুটানের চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের প্রায় ৬০ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের রক্ষণ দৃঢ় রাখে বাংলাদেশ। অবশেষে চিড় ধরে সেই দৃঢ়তায়। পিছিয়ে পড়ার পর প্রতি-আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
শেষদিকে আরও এক গোল হজম করে বাংলাদেশ। ফলে ভারতের কাছে ২-০ গোলের হারে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো সাইফুল বারী টিটুর দলকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করে ভারত। তবে রক্ষণের দৃঢ়তায় গোল হজম করেনি বাংলাদেশ দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর নিজের গোলপোস্ট সুরক্ষিত রাখতে পারেনি। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে গোল পায় ভারত। অধিনায়ক মাতের কর্নারে হেডে লাল-সবুজদের প্রতিরোধ ভাঙেন মোহাম্মদ কাইফ।
দুটি পরিবর্তন করেন বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু। শফিক রহমান ও অপু রহমানের বদলে মাঠে নামানো হয় জয় রহমান ও মোহাম্মদ মানিককে। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন মানিক। তবে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের মঞ্চে কিছুই করতে পারেননি তিনি।
সময় যত গড়িয়েছে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন তত রংহীন হয়েছে। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। পরে টাইব্রেকে জেতে ম্যাচ। তবে এবার যোগ করা ৬ মিনিটে কোনো চমক দেখাতে পারেনি বাংলাদেশের ফুটবলাররা।
উল্টো শেষ মুহূর্তে আরও এক গোল হজম করে তারা। ডি বক্সের ওপরে জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের দৃষ্টিনন্দন শটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মদ আরবাস। এতে পূরণ হয় ভারতের শিরোপা ধরে রাখার মিশন।
সাফের বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতা এখন পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৫, ১৬ ও ১৭ ক্যাটাগরিতে টুর্নামেন্ট হয়। অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৬ ক্যাটাগরিতে একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৭তে প্রথম রানার্সআপ হলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ক্যাটাগরিতে হওয়া প্রথম আসরে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেবার ভারতের কাছে ২-১ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ দল।