ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে উদ্ধার হলো নিখোঁজ এমপি আনারের মরদেহ

Oplus_131072

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

বুধবার (২২ মে) কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

 

মূলত নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। জিজ্ঞাসাবাদে তারাই জানান মরদেহ আছে নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনে। সে খবর দেয়া হয় কলকাতা পুলিশকে। পরে বুধবার এই মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের পুলিশ।

 

 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মে কলকাতায় যান আজিম। একজন অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম তার নাম গোপাল বিশ্বাস।

 

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সংসদ সদস্য আজিমকে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে মুখ খুলছে না।

 

 

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কারা আজিমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তার এ তদন্তে কাজ করছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনার, আইবি ও এসটিএফ।

 

পশ্চিম বঙ্গের সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর নিউটাউন থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়। আওয়ামী লীগের ৩ বারের এমপি ছিলেন আজিম।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে। কে বা কারা তাকে খুন করেছে তার তদন্তে নেমেছে দেশটির পুলিশ প্রসাশন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ঝিনাইদহের এমপি যথাযথভাবে ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার পর তার কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না। সরকারের সব এজেন্সি এটা নিয়ে কাজ করছে। এনএসআই, এসবি, পুলিশ কাজ করছে।

 

ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। যতটুকু শুনেছি, তার মোবাইল ফোনটা বন্ধ আছে।’

 

 

চিকিৎসা ও বন্ধুর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত ১২ মে ভারতে যান এমপি আনার। পরদিন ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফের সঙ্গে তার কথা হয়। গত ১৬ মে সকাল ৭টা ৪৬ মিনিটে এমপির ফোন থেকে পিএসের নম্বরে সর্বশেষ কল আসে।

 

কলটি ধরতে পারেননি পিএস। এক মিনিট পর পিএস তাকে কল করলে ওপাশ থেকে রিসিভ হয়নি। এরপর থেকে আনারের সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই পরিবারের সদস্যদের।

 

 

জানা গেছে, এক সময় আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত ছিলেন আনার। আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালে ইন্টারপোলের তালিকায় তার নাম ওঠে। ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার হওয়ার পর এলাকায় ফিরে আগের মতোই কর্মকাণ্ড শুরু করেন তিনি।

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

ভারতে উদ্ধার হলো নিখোঁজ এমপি আনারের মরদেহ

প্রকাশিত : ০১:৪১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

বুধবার (২২ মে) কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

 

মূলত নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। জিজ্ঞাসাবাদে তারাই জানান মরদেহ আছে নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনে। সে খবর দেয়া হয় কলকাতা পুলিশকে। পরে বুধবার এই মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের পুলিশ।

 

 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মে কলকাতায় যান আজিম। একজন অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম তার নাম গোপাল বিশ্বাস।

 

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সংসদ সদস্য আজিমকে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে মুখ খুলছে না।

 

 

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কারা আজিমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তার এ তদন্তে কাজ করছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনার, আইবি ও এসটিএফ।

 

পশ্চিম বঙ্গের সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর নিউটাউন থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়। আওয়ামী লীগের ৩ বারের এমপি ছিলেন আজিম।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে। কে বা কারা তাকে খুন করেছে তার তদন্তে নেমেছে দেশটির পুলিশ প্রসাশন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ঝিনাইদহের এমপি যথাযথভাবে ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার পর তার কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না। সরকারের সব এজেন্সি এটা নিয়ে কাজ করছে। এনএসআই, এসবি, পুলিশ কাজ করছে।

 

ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। যতটুকু শুনেছি, তার মোবাইল ফোনটা বন্ধ আছে।’

 

 

চিকিৎসা ও বন্ধুর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত ১২ মে ভারতে যান এমপি আনার। পরদিন ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফের সঙ্গে তার কথা হয়। গত ১৬ মে সকাল ৭টা ৪৬ মিনিটে এমপির ফোন থেকে পিএসের নম্বরে সর্বশেষ কল আসে।

 

কলটি ধরতে পারেননি পিএস। এক মিনিট পর পিএস তাকে কল করলে ওপাশ থেকে রিসিভ হয়নি। এরপর থেকে আনারের সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই পরিবারের সদস্যদের।

 

 

জানা গেছে, এক সময় আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত ছিলেন আনার। আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালে ইন্টারপোলের তালিকায় তার নাম ওঠে। ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার হওয়ার পর এলাকায় ফিরে আগের মতোই কর্মকাণ্ড শুরু করেন তিনি।