এবার ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’। এর প্রভাবে অন্তত চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। ফিলিপাইন ও চীনের হাইনান দ্বীপের পর ভিয়েতনামে আছড়ে পড়ে সুপার এ টাইফুন।
শনিবার (০৭ পেস্টেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, টাইফুনের প্রভাবে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সুপার টাইফুন ইয়াগি ২৩৪ কিলোমিটার গতিতে চীনের হাইনান দ্বীপে আছড়ে পড়ে। পরে এটি শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপজেলায় আঘাত হানে।
ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টাইফুনের কারণে অন্তত চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৮ জন। টাইফুনের প্রভাবে সমুদ্রে থাকা অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে এ টাইফুনের আঘাতে চীনে দুজন ও ফিলিপাইনে ১৬ জন নিহত হন।
সুপার টাইফুন ইয়াগি আঘাত হানা হাইফাং ভিয়েতনামের উপকূলীয় শিল্পাঞ্চলীয় হাব এলাকা। শহরটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। এছাড়া ভিয়েতনামের এ শহরে বিদেশি কিছু কোম্পানির গাড়ি প্রস্তুত কারখানা রয়েছে। টাইফুনের প্রভাবে এসব কারখানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কতৃপক্ষ জানিয়েছে, টাইফুনের আঘাতের পর শহরটিতে শনিবার বিদ্যুৎ সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করেছে। এছাড়া টাইফুনের জন্য দ্বীপ শহরটি থেকে ৫০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে চীনে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এই বছরের এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঝড় চীনের হাইনান প্রদেশের উপকূলে ল্যান্ডফল করেছে। এতে অন্তত দুজনের প্রাণহানি এবং ৯২ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় হাইনান দ্বীপের উত্তর-পূর্বে ২৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে আছড়ে পড়ে টাইফুন ইয়াগি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ‘শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি ভারি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসসহ হাইনানে আঘাত হেনেছে। তীব্র ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে এবং এর জন্য প্রায় চার লাখ ৬০ হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে।