চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির পক্ষ থেকে মনোনয়নও তুলেছিলেন তিনি। তবে মাহিকে নৌকার টিকিট দেয়নি আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কা প্রতীক নিয়ে লড়াই করেন মাহি। তবে পরাজিত হন এই নায়িকা।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে মাহি। এদিকে আওয়ামী সরকারের পতনের পর দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে।
মাঝে একটি কাজে দেশের বাহিরে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হন মাহি। শেষ পর্যন্ত তাকে অবশ্য দেশের বাহিরে যেতে দেওয়া হয়। এরপর কাজ শেষে দেশেও ফিরেছেন পোড়ামন তারকা।
এদিকে গুঞ্জন চাউর হয়েছে মাহি নাকি গা ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি মামলা আতঙ্কে রয়েছেন। মাহির ঘনিষ্ঠজনের বরাত দিয়ে এমন বেশ কিছু সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, আওয়ামী লীগের সমর্থক এই নায়িকার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নেই। এখনও তার বিরুদ্ধে মামলার তথ্যও পাওয়া যায়নি। আদৌ হবে কিনা তেমন সম্ভাবনার খোঁজ কেউ দিতে পারেননি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব উপস্থিতি রয়েছে মাহির। বিভিন্ন সময়ে ছবি ও রিলস পোস্ট করতে দেখা গেছে ফেসবুকে। নিয়মিত ভিডিও ও ছবি পোস্ট করছেন তিনি।
এদিকে আওয়ামী সমর্থিত শিল্পীদের মধ্যে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, সাজু খাদেম ও শাহরিয়ার নাজিম জয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তবে অনেক তারকাই মামলা আতঙ্কের কথা কালবেলার কাছে শিকার করেছেন। তাদের ভাষ্য, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে বিপদে ফেলার জন্য কেউ কেউ এসব মামলার উস্কানি দিচ্ছেন। শিল্পীরা দলীয় সমর্থন করলেও তারা কখনো কারও ক্ষতি করেনি।