ঢাকা , শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লামিন ইয়ামালের শততম ম্যাচে জিতল বার্সা

পেশাদার সার্কিটে লামিনে ইয়ামালের শততম ম্যাচ বার্সেলোনার ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ল। রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি রবার্ট লেভানডভস্কির পেনাল্টি গোলে কাতাল জায়ান্টরা ১-০ ব্যবধানে জিতল, যা হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে লিগ টেবিলের শীর্ষে ফিরিয়েছে।

 

রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেশাদার ক্যারিয়ারের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার হয়ে ৮৩ এবং স্পেনের হয়ে ১৭ ম্যাচ খেলেছেন এ বিস্ময় বালক।

 

২০২৩ এপ্রিলে অভিষেকের পর ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২১ গোল করা ইয়ামাল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২৮ গোল। এ পরিসংখ্যান দিয়ে অবশ্য ইয়ামালকে বর্ণনা করা যাচ্ছে না। দুই জায়গায় নিয়মিত দারুণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন এ উইঙ্গার।

 

 

এরই মধ্যে লা লিগা জিতেছেন, হাতে তুলেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। অসংখ্য ব্যক্তিগত ট্রফিও জিতেছেন লামিনে ইয়ামাল, যার মধ্যে আছে গোল্ডেন বয় এবং কোপা ট্রফি। যে কোনো ফুটবলারের জন্য এ অর্জন দারুণ সম্মানের। কাতালান ক্লাবটির যুব দল বার্সেলোনা অ্যাথলেটিক থেকে প্রমোশন পাওয়ার পর থেকে এ ফুটবলারের জীবন দ্রুত বদলে গেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রথম দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। হ্যান্সি ফ্লিক বার্সেলোনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইয়ামালকে আক্রমণভাগে ডানদিকে ব্যবহার করে আসছেন।

 

রায়োর বিপক্ষে জয়ের পর বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ সমান, ৫১ পয়েন্ট করে। গোল গড়ে শীর্ষে আছে বার্সা। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ২৪তম রাউন্ডে রিয়াল ও অ্যাতলেটিকো পয়েন্ট খোয়ানোয় লিগ টেবিলে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। মাদ্রিদের দুই জায়ান্টই ড্র করেছে, দুই ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-১। কাকতালীয় মিল হচ্ছে, ম্যাচ দুটিতে লাল কার্ড দেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের একজন করে খেলোয়াড়।

 

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বার্সেলোনাকে অবশ্য বেশ ভুগিয়েছে রায়ো। ম্যাচে দলটি কাতাল জায়ান্টদের জালে বলও জড়িয়েছিল। যদিও অফসাইডের কারণে সেটা বৈধতা পায়নি। বার্সেলোনার গোলের উৎস পেনাল্টির সিদ্ধান্ত এসেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কল্যাণে। পাথে সিসে বক্সের মধ্যে মার্তিনেজকে ট্যাকল করে পেনাল্টির বিপদ ডেকে এনেছিলেন। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল করেননি পোলিশ তারকা লেভানডভস্কি। ১ ডিসেম্বর অ্যাতলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে হারের পর থেকে লা লিগায় অপরাজিত ছিল রায়ো। নয় ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পেল ক্লাবটি।

 

 

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

লামিন ইয়ামালের শততম ম্যাচে জিতল বার্সা

প্রকাশিত : ১১:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পেশাদার সার্কিটে লামিনে ইয়ামালের শততম ম্যাচ বার্সেলোনার ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ল। রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি রবার্ট লেভানডভস্কির পেনাল্টি গোলে কাতাল জায়ান্টরা ১-০ ব্যবধানে জিতল, যা হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে লিগ টেবিলের শীর্ষে ফিরিয়েছে।

 

রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেশাদার ক্যারিয়ারের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার হয়ে ৮৩ এবং স্পেনের হয়ে ১৭ ম্যাচ খেলেছেন এ বিস্ময় বালক।

 

২০২৩ এপ্রিলে অভিষেকের পর ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২১ গোল করা ইয়ামাল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২৮ গোল। এ পরিসংখ্যান দিয়ে অবশ্য ইয়ামালকে বর্ণনা করা যাচ্ছে না। দুই জায়গায় নিয়মিত দারুণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন এ উইঙ্গার।

 

 

এরই মধ্যে লা লিগা জিতেছেন, হাতে তুলেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। অসংখ্য ব্যক্তিগত ট্রফিও জিতেছেন লামিনে ইয়ামাল, যার মধ্যে আছে গোল্ডেন বয় এবং কোপা ট্রফি। যে কোনো ফুটবলারের জন্য এ অর্জন দারুণ সম্মানের। কাতালান ক্লাবটির যুব দল বার্সেলোনা অ্যাথলেটিক থেকে প্রমোশন পাওয়ার পর থেকে এ ফুটবলারের জীবন দ্রুত বদলে গেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রথম দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। হ্যান্সি ফ্লিক বার্সেলোনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইয়ামালকে আক্রমণভাগে ডানদিকে ব্যবহার করে আসছেন।

 

রায়োর বিপক্ষে জয়ের পর বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ সমান, ৫১ পয়েন্ট করে। গোল গড়ে শীর্ষে আছে বার্সা। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ২৪তম রাউন্ডে রিয়াল ও অ্যাতলেটিকো পয়েন্ট খোয়ানোয় লিগ টেবিলে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। মাদ্রিদের দুই জায়ান্টই ড্র করেছে, দুই ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-১। কাকতালীয় মিল হচ্ছে, ম্যাচ দুটিতে লাল কার্ড দেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের একজন করে খেলোয়াড়।

 

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বার্সেলোনাকে অবশ্য বেশ ভুগিয়েছে রায়ো। ম্যাচে দলটি কাতাল জায়ান্টদের জালে বলও জড়িয়েছিল। যদিও অফসাইডের কারণে সেটা বৈধতা পায়নি। বার্সেলোনার গোলের উৎস পেনাল্টির সিদ্ধান্ত এসেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কল্যাণে। পাথে সিসে বক্সের মধ্যে মার্তিনেজকে ট্যাকল করে পেনাল্টির বিপদ ডেকে এনেছিলেন। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল করেননি পোলিশ তারকা লেভানডভস্কি। ১ ডিসেম্বর অ্যাতলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে হারের পর থেকে লা লিগায় অপরাজিত ছিল রায়ো। নয় ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পেল ক্লাবটি।