ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সরফরাজ-পান্তের ঝলকের পর হটাৎ ভারতের ব্যাটিং ধস

অবিশ্বাস্য এক জয়ের স্বপ্নই দেখছিলো টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পরও সরফরাজ খানের দুর্দান্ত ১৫০ রান এবং ঋসভ পান্তের ৯৯ রানে ভর করে ভালোই লড়াই চালাচ্ছিল রোহিত শর্মার দল তবে শেষ পর্যন্ত কিউইদের নতুন বলের আক্রমণে ৪৬২ রানে থামতে হয় ভারতের।

এখন নিউজিল্যান্ডকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে, ভারতের শেষ ৭টি উইকেট মাত্র ৫৪ রানে পড়ে যাওয়ায় ম্যাচের গতি পরিবর্তন হয়। উইলিয়াম ও’রউর্ক এবং ম্যাট হেনরির তিনটি করে উইকেট শিকার এই ধসের মূল কারিগর।

দিনের শুরুতে, সরফরাজ খান ও ঋষভ পান্তের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসের ঘাটতি পূরণ করে। তবে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে পেয়ে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে দেয়। দিনের শেষদিকে, খারাপ আলোর কারণে এবং পরে বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৪ বল খেলতে পারে।

দিনের শুরুটা ছিল ভারতের অনুকূলে। আগের দিনের সরফরাজ ও কোহলির সেঞ্চুরি জুটির পর ইনিংস ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সারফরাজ আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন, এবং পান্তও আক্রমণে যোগ দেন। সারফরাজ তার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। পান্তও সঙ্গ দিলেন, যদিও একাধিকবার আউট হওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন।

দুজন মিলে ১৭৭ রানের জুটি গড়েন, যা ভারতের জন্য বিশাল লিডের পথ তৈরি করে। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলের পর ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। সারফরাজ টিম সাউদির প্রথম ডেলিভারিতেই আউট হন। অন্যদিকে, পান্তও ৯৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

ভারতের বাকি ব্যাটাররাও তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। কেএল রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা দ্রুত আউট হন। এরপর হেনরি ভারতের লোয়ার অর্ডারকে দ্রুত গুটিয়ে দেন।

ভারত ইতিহাসে সর্বনিম্ন ১০৭ রানের টার্গেট একবারই সফলভাবে রক্ষা করতে পেরেছে, ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে বেঙ্গালুরুর পিচ সেইরকম সহায়ক নাও হতে পারে। টেস্টের শেষ দিনে আবহাওয়া বাগড়া দিতে পারে, কারণ রোববারের জন্য ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৪৬ এবং ৪৬২ (সারফরাজ খান ১৫০, ঋষভ পান্ত ৯৯; উইলিয়াম ও’রউর্ক ৩-৯২, ম্যাট হেনরি ৩-১০২)

নিউজিল্যান্ড: ৪০২ (রাচিন রবীন্দ্র ১৩৪, ডেভন কনওয়ে ৯১; রবীন্দ্র জাদেজা ৩-৭২) ও ০/০

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

সরফরাজ-পান্তের ঝলকের পর হটাৎ ভারতের ব্যাটিং ধস

প্রকাশিত : ০৭:৫২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

অবিশ্বাস্য এক জয়ের স্বপ্নই দেখছিলো টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পরও সরফরাজ খানের দুর্দান্ত ১৫০ রান এবং ঋসভ পান্তের ৯৯ রানে ভর করে ভালোই লড়াই চালাচ্ছিল রোহিত শর্মার দল তবে শেষ পর্যন্ত কিউইদের নতুন বলের আক্রমণে ৪৬২ রানে থামতে হয় ভারতের।

এখন নিউজিল্যান্ডকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে, ভারতের শেষ ৭টি উইকেট মাত্র ৫৪ রানে পড়ে যাওয়ায় ম্যাচের গতি পরিবর্তন হয়। উইলিয়াম ও’রউর্ক এবং ম্যাট হেনরির তিনটি করে উইকেট শিকার এই ধসের মূল কারিগর।

দিনের শুরুতে, সরফরাজ খান ও ঋষভ পান্তের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসের ঘাটতি পূরণ করে। তবে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে পেয়ে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে দেয়। দিনের শেষদিকে, খারাপ আলোর কারণে এবং পরে বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৪ বল খেলতে পারে।

দিনের শুরুটা ছিল ভারতের অনুকূলে। আগের দিনের সরফরাজ ও কোহলির সেঞ্চুরি জুটির পর ইনিংস ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সারফরাজ আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন, এবং পান্তও আক্রমণে যোগ দেন। সারফরাজ তার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। পান্তও সঙ্গ দিলেন, যদিও একাধিকবার আউট হওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন।

দুজন মিলে ১৭৭ রানের জুটি গড়েন, যা ভারতের জন্য বিশাল লিডের পথ তৈরি করে। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলের পর ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। সারফরাজ টিম সাউদির প্রথম ডেলিভারিতেই আউট হন। অন্যদিকে, পান্তও ৯৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

ভারতের বাকি ব্যাটাররাও তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। কেএল রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা দ্রুত আউট হন। এরপর হেনরি ভারতের লোয়ার অর্ডারকে দ্রুত গুটিয়ে দেন।

ভারত ইতিহাসে সর্বনিম্ন ১০৭ রানের টার্গেট একবারই সফলভাবে রক্ষা করতে পেরেছে, ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে বেঙ্গালুরুর পিচ সেইরকম সহায়ক নাও হতে পারে। টেস্টের শেষ দিনে আবহাওয়া বাগড়া দিতে পারে, কারণ রোববারের জন্য ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৪৬ এবং ৪৬২ (সারফরাজ খান ১৫০, ঋষভ পান্ত ৯৯; উইলিয়াম ও’রউর্ক ৩-৯২, ম্যাট হেনরি ৩-১০২)

নিউজিল্যান্ড: ৪০২ (রাচিন রবীন্দ্র ১৩৪, ডেভন কনওয়ে ৯১; রবীন্দ্র জাদেজা ৩-৭২) ও ০/০