ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সাজেকে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক

দেশে তিনদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির কাচাঁলং নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চল। পানিবন্দি প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বাঘাইহাট বাজারে পানি ওঠায় মেঘের রাজ্য সাজেকে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।

 

সোমবার (১ জুলাই) মধ্যরাত থেকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এতে উপজেলার সদর, বারবিন্দু, মাস্টার পাড়া, লাইন্যা ঘোনা, উলুছড়ি, এফ ব্লক, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, রুপকারি, পুরাতন মারিশ্যা গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

 

 

এ ছাড়াও দীঘিনালা সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার প্লাবিত হওয়ায় সাজেকে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক এবং সকাল থেকে কোনো পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে সাজেকে অবস্থানরত সকল পর্যটক সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

 

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিতে বাঘাইহাটে পানি ওঠায় সাজেকে অবস্থানরত সকল পর্যটক সেখানে আটকা আছে। তবে তারা সুস্থ আছেন। বৃষ্টি কমলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আশা করছি পানি নেমে যাবে। যারপর তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারবেন।

 

 

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, টানাবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে বাঘাইছড়ির নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কী পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি তার সঠিক হিসাব বলতে পারছি না। এরইমধ্যে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে তবে সেখানে কেউ এখনো আসেনি। অপরদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক ও বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়ে আছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

সাজেকে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক

প্রকাশিত : ১১:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

দেশে তিনদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির কাচাঁলং নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চল। পানিবন্দি প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বাঘাইহাট বাজারে পানি ওঠায় মেঘের রাজ্য সাজেকে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।

 

সোমবার (১ জুলাই) মধ্যরাত থেকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এতে উপজেলার সদর, বারবিন্দু, মাস্টার পাড়া, লাইন্যা ঘোনা, উলুছড়ি, এফ ব্লক, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, রুপকারি, পুরাতন মারিশ্যা গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

 

 

এ ছাড়াও দীঘিনালা সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার প্লাবিত হওয়ায় সাজেকে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক এবং সকাল থেকে কোনো পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে সাজেকে অবস্থানরত সকল পর্যটক সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

 

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিতে বাঘাইহাটে পানি ওঠায় সাজেকে অবস্থানরত সকল পর্যটক সেখানে আটকা আছে। তবে তারা সুস্থ আছেন। বৃষ্টি কমলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আশা করছি পানি নেমে যাবে। যারপর তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারবেন।

 

 

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, টানাবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে বাঘাইছড়ির নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কী পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি তার সঠিক হিসাব বলতে পারছি না। এরইমধ্যে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে তবে সেখানে কেউ এখনো আসেনি। অপরদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক ও বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়ে আছে।