২০১৬ সালের কোপা ফাইনালেও কেঁদেছিলেন লিওনেল মেসি। আট বছর পর আবার কাঁদলেন তিনি। অথচ দুই কান্নায় কি আকাশ-পাতাল ব্যবধান! চিলির বিপক্ষে সেদিন পেনাল্টি মিস করেছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনা হেরে বিদায় নিয়েছিল।
এবার ৬৩ মিনিটে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লেন। কাঁদলেনও। কিন্তু এবার মেসিহীন আর্জেন্টিনা জিতল। লাউতারো মার্তিনেজ জেতালেন আর্জেন্টিনাকে। এরপর মেসি হাসলেন। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াও হাসতে হাসতেই বিদায় নিলেন।
অবশ্য কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারানোর আগেই নিশ্চিত ছিল অবসরে যাবেন ডি মারিয়া। মেসিও তার জন্য কোপা জয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কথা রেখেছেন মেসি। তবে আর্জেন্টিনা যে কোপা জিতবে, সেটা আগেই স্বপ্নে দেখেছিলেন ডি মারিয়া।
কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিয়ে ঝামেলাও কম হয়নি। টিকিট না থাকা দর্শক স্টেডিয়ামের ব্যারিকেড ভেঙে স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েন। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে ফাইনাল শুরু হয়।
প্রথমার্ধে দাপট দেখায় কলম্বিয়া। পরে ছন্দে ফেরে আর্জেন্টিনা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা জয়ের পর ডি মারিয়া বলেন, ‘এই জয় আগে থেকেই লেখা ছিল। আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। দলের সবাইকে সে কথা বলেছিলাম। আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।’
ডি মারিয়াকে আরও কিছুদিন আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলার অনুরোধ করেছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি বলেন, ‘ডি মারিয়া আমাদের হয়ে অনেক ভালো ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু এ ম্যাচটা সেরা ছিল। যখন তার পা চলছিল না, তখনো ২৫ বছরের তরুণের মতো দৌড়াচ্ছিল।
সে একজন কিংবদন্তি। তাকে অনেক অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তাকে ফেরানোর কোনো উপায় নেই। আমরা চাচ্ছি, আর একটা ম্যাচ খেলে ডি মারিয়া অবসর নিক। তাহলে তাকে সংবর্ধনা জানানো যাবে। সে এই সম্মানের যোগ্য।’
কোপার পর বিশ্বকাপ, এরপর আবার কোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। ফিনালেসিমা ধরলে গত চার বছরে আর্জেন্টিনার হয়ে চারটি ট্রফি জিতেছেন ডি মারিয়া। তিনি বলেন, ‘দেখে মনে হয় খুব সহজ। কিন্তু এত ট্রফি জেতা সহজ নয়। আগে তো উল্টো দিকেই থাকতাম।
এই প্রজন্মের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের আনন্দ করার এত সুযোগ করে দিয়েছে। আগের প্রজন্মও ট্রফির যোগ্য ছিল। তাদের সঙ্গে কিছু জিততে পারলে খুব ভালো লাগত।’