ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভয়াবহ রূপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানবে হারিকেন মিল্টন

আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে হারিকেন মিল্টন। বর্তমানে এটি ক্যাটিগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের চেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়ে এটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ২৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে এটি অগ্রসর হচ্ছে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য বিপর্যয়কর ঝড়ের ক্রমবর্ধমান কঠোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

 

 

কর্তৃপক্ষের জারি করা এক সতর্কবাতায় বলা হয়েছে, বুধবার পূর্ণ শক্তির সঙ্গে এ ঝড়টি জনবহুল শহর টাম্পা উপসাগরে আঘাত হানতে পারে।

 

বিবিসি জানিয়েছে, ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিসরে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এক সতর্কবার্তায় বলেন, লোকেদের সরিয়ে নেওয়ার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

 

 

সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের ধরে নিতে হবে এটি একটি দানব হতে চলেছে।

 

মিয়ামির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, রোববার (০৬ অক্টোবর) ভোরে এটি ফ্লোরিডার টেম্পা থেকে প্রায় এক হাজার ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। পরে এটি প্রতি ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার বেগে পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এটি এখন ৯৫ কিলোমিটার বেগে ঘুরপাক খাচ্ছে।

 

 

এর আগে সম্প্রতি ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘুর্ণিঝড় হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। বিধ্বংসী গতির এই ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড এবং এর আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তাঘাট ডুবে যায়।

 

ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দেয়। বিগ বেন্ডে আছড়ে পড়ার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দিকে এগোতে থাকে হেলেন। এ সময় কমতে থাকে ঝড়ের গতিবেগও।

 

মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বিধ্বংসী ক্ষমতার দিক দিয়ে ১৪তম এবং প্রশস্ততার দিক দিয়ে ‍তৃতীয়। ফ্লোরিয়ায় আঘাত হানার সময় এর পরিধি ছিল ৬৭৫ কিলোমিটার।

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

ভয়াবহ রূপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানবে হারিকেন মিল্টন

প্রকাশিত : ১০:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে হারিকেন মিল্টন। বর্তমানে এটি ক্যাটিগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের চেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়ে এটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ২৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে এটি অগ্রসর হচ্ছে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য বিপর্যয়কর ঝড়ের ক্রমবর্ধমান কঠোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

 

 

কর্তৃপক্ষের জারি করা এক সতর্কবাতায় বলা হয়েছে, বুধবার পূর্ণ শক্তির সঙ্গে এ ঝড়টি জনবহুল শহর টাম্পা উপসাগরে আঘাত হানতে পারে।

 

বিবিসি জানিয়েছে, ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিসরে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এক সতর্কবার্তায় বলেন, লোকেদের সরিয়ে নেওয়ার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

 

 

সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের ধরে নিতে হবে এটি একটি দানব হতে চলেছে।

 

মিয়ামির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, রোববার (০৬ অক্টোবর) ভোরে এটি ফ্লোরিডার টেম্পা থেকে প্রায় এক হাজার ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। পরে এটি প্রতি ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার বেগে পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এটি এখন ৯৫ কিলোমিটার বেগে ঘুরপাক খাচ্ছে।

 

 

এর আগে সম্প্রতি ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘুর্ণিঝড় হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। বিধ্বংসী গতির এই ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড এবং এর আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তাঘাট ডুবে যায়।

 

ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দেয়। বিগ বেন্ডে আছড়ে পড়ার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দিকে এগোতে থাকে হেলেন। এ সময় কমতে থাকে ঝড়ের গতিবেগও।

 

মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বিধ্বংসী ক্ষমতার দিক দিয়ে ১৪তম এবং প্রশস্ততার দিক দিয়ে ‍তৃতীয়। ফ্লোরিয়ায় আঘাত হানার সময় এর পরিধি ছিল ৬৭৫ কিলোমিটার।