মোস্তাফিজুর রহমানের করা ৪৩তম ওভারের শেষ বল উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন রশিদ খান। লং অফে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তালুবন্দি করেই হুঙ্কার তুললেন; যেন প্রাণ ফিরেছে দলে। আফগান অলরাউন্ডারের ফেরা মানেই আপাতত জয় নিশ্চিত।
কেননা, এরপর আর মাত্র এক উইকেট! সেটাও এসে গেছে দ্রুত সময়েই। ৬৮ রানের দারুণ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগামী সোমবার হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।
শারজায় পিচ রিপোর্ট পড়ে পাকিস্তান কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা সম্প্রচার টেলিভিশনে বলেছিলেন, ‘২৫০ রান করুন এবং প্রতিপক্ষকে চাপে রাখুন।’ ব্যাটাররা সেটা করেছেন বটে। বাকিটা করলেন বোলাররা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। দারুণ শুরুর পর মাঝে কিছুটা ছন্দপতন হলেও শেষ দিকে জাকেরের ব্যাটে লড়াইয়ের ভিত পায় সফরকারীরা। ৭ উইকেটে ২৫২ রান তোলে তারা। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে একাই ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন নাজমুল। শেষ দিকে ২৭ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন জাকের।
মুশফিকুর রহিমের চোটে এ ম্যাচে একাদশে সুযোগ হয় জাকেরের। কিপার-ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতেও পা পড়ে তার। আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টি ও টেস্টেও অভিষেক হয়েছিল তরুণ এই ব্যাটারের। এবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও শুরুটা দারুণ করলেন তিনি। উদ্বোধনী জুটি যখন ব্যর্থ হলো আবারও।
২২ রান করে ফিরতে হলো তানজিদ হাসান তামিমের। তখন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নাজমুল হোসেন। ৭১ রানের এই জুটি ভাঙলে সৌম্য ফেরেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। পরে অবশ্য ড্রেসিংরুমে বসে রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপেও পুড়েছিলেন। কেননা, রিভিউ নিলে যে সে সময় আউট থেকে রক্ষা পেতেন তিনি।
মিডল অর্ডারে মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ—কেউই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। বিশেষ করে অভিজ্ঞতায় ভরপুর মাহমুদউল্লাহ খারোতের বলে যেভাবে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন, তাতে আরও একবার বয়সের ভার সামনে এসে গেল তার। শেষ দিকে জাকের ও লম্বা সময় পর দলে ফেরা নাসুম আহমেদের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি মেলে বাংলাদেশের। নাসুম ২৪ বলে খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ২৫ রানের ইনিংস।