ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অসুস্থ। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্লিনটনের কার্যালয়ের উপপ্রধান কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেল ইউরেনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

 

অ্যাঞ্জেল ইউরেনা জানান, স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিল ক্লিনটনকে ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।

 

 

তবে তিনি ঠিক কী ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ইউরেনা। বলেছেন, হাসপাতালে বিল ক্লিনটনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ চলছে।

 

ক্লিনটনের বয়স ৭৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। জ্বরের কারণে তার শরীরিক অবস্থা আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়তে পারে।

 

বিবিসি নিজস্ব সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিল ক্লিনটনের অন্যান্য জটিলতা থাকায় তিনি জ্বরে কাবু হয়ে পড়তে পারেন। এমন আশঙ্কায় হয়তো তাকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।

 

 

ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি ‍গুরুতর নয়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শেষমেশ ভালো থাকবেন। ভোরে ক্লিনটন সজাগ হয়েছেন এবং তার হুঁশ আছে।

 

১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করা ৪২তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে শুভাকাঙক্ষীরা ভীত। কারণ, তার রক্তে সংক্রমণের পরে ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০২১ সালে ছয় দিনের মতো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর আগে থেকে তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। ২০০৪ সালে তার বাইপাস সার্জারি করা হয় এবং দশ বছর পরে আবার তীব্র বুকে ব্যথায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও তার অপারেশন করেন।

 

দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পর থেকে ক্লিনটনের জন্য আমিষ ও চর্বিযুক্ত খাবারে নিষেধাজ্ঞা দেন চিকিৎসক। বাধ্য হয়ে তাকে নিরামিষাশী হতে হয়। তিনি ২০১৬ সালে পলিটিকোকে বলেছিলেন, আমি যদি নিরামিষাশী না হতাম তাহলে আমি হয়তো বেঁচে থাকতাম না।

 

ক্লিনটন এই বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন। কমলা হ্যারিসের জয়ের জন্য দেশব্যাপী বিভিন্ন সভায় অংশ নেন। এ চাপও তার স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন

প্রকাশিত : ১১:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অসুস্থ। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্লিনটনের কার্যালয়ের উপপ্রধান কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেল ইউরেনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

 

অ্যাঞ্জেল ইউরেনা জানান, স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিল ক্লিনটনকে ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।

 

 

তবে তিনি ঠিক কী ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ইউরেনা। বলেছেন, হাসপাতালে বিল ক্লিনটনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ চলছে।

 

ক্লিনটনের বয়স ৭৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। জ্বরের কারণে তার শরীরিক অবস্থা আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়তে পারে।

 

বিবিসি নিজস্ব সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিল ক্লিনটনের অন্যান্য জটিলতা থাকায় তিনি জ্বরে কাবু হয়ে পড়তে পারেন। এমন আশঙ্কায় হয়তো তাকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।

 

 

ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি ‍গুরুতর নয়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শেষমেশ ভালো থাকবেন। ভোরে ক্লিনটন সজাগ হয়েছেন এবং তার হুঁশ আছে।

 

১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করা ৪২তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে শুভাকাঙক্ষীরা ভীত। কারণ, তার রক্তে সংক্রমণের পরে ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০২১ সালে ছয় দিনের মতো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর আগে থেকে তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। ২০০৪ সালে তার বাইপাস সার্জারি করা হয় এবং দশ বছর পরে আবার তীব্র বুকে ব্যথায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও তার অপারেশন করেন।

 

দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পর থেকে ক্লিনটনের জন্য আমিষ ও চর্বিযুক্ত খাবারে নিষেধাজ্ঞা দেন চিকিৎসক। বাধ্য হয়ে তাকে নিরামিষাশী হতে হয়। তিনি ২০১৬ সালে পলিটিকোকে বলেছিলেন, আমি যদি নিরামিষাশী না হতাম তাহলে আমি হয়তো বেঁচে থাকতাম না।

 

ক্লিনটন এই বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন। কমলা হ্যারিসের জয়ের জন্য দেশব্যাপী বিভিন্ন সভায় অংশ নেন। এ চাপও তার স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।