দশ উইকেটে হারিয়ে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে রীতিমতো উড়িয়ে দিলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। লোকেশ রাহুলদের ছুঁড়ে দেয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য মাত্র ৯.৪ ওভারে অতিক্রম করলেন ট্রাভিস হেড- অভিষেক শর্মারা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে পৌঁছে গেল লক্ষ্ণৌ।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা লক্ষ্ণৌকে সুবিধা করতে দেননি ভুবনেশ্বর কুমার, প্যাট কামিন্সরা। শুরু থেকেই চাপে ছিল দলটি। আর তাই সেভাবে রানও তুলতে পারছিল না দলটির টপ অর্ডার। ১১.২ ওভারে ৬৬ রান তুলতেই চার উইকেট হারায় তারা।
এর মধ্যে ৩৩ বলে ২৯ রান করেন রাহুল। ২১ বলে ২৪ রান আসে ক্রুনাল পান্ডিয়ার ব্যাটে। কুইন্টন ডি কক ২ এবং মার্কাস স্টইনিস ৩ রানে ফিরে যান, এই দুজনকেই ফেরান ভুবনেশ্বর। চার উইকেট পড়ার পর খেলায় ফিরে লক্ষ্ণৌ।
এরপর আর উইকেটই হারায়নি দলটি। নিকোলাস পুরান এবং আইয়ুশ বাদোনি মিলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান। ২৬ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন পুরান। ৩০ বলে নয়টি চারে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন বাদোনি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলে হায়দরাবাদ। আসরে তিনবার আড়াইশ পেরুনো দলটি প্রথম ওভারে করে আট রান। তবে ইয়াশ ঠাকুরের করা দ্বিতীয় ওভারে তারা নেয় ১৭ রান। তৃতীয় ওভারে ২২ রান নেন হেড একাই।
চতুর্থ ওভারে অবশ্য অভিষেককে ফেরানোর সভাবনা তৈরি করেও ফেরাতে পারেননি রবি বিষনই। সেই ওভারে আসে ১৭ রান। এভাবে খেলতে খেলতে ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন হেড। কিছুক্ষণ পর অভিষেক হাফ সেঞ্চুরি তোলেন ১৯ বলে।
শেষ পর্যন্ত ৩০ বলে আটটি চার ও আটটি ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হেড। ২৮ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিষেক।